স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর
ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজ বিধ্বস্তে নিহত ২৩ জনের মরদেহ আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতদের পারিবারিকভাবে দাফন করা হবে। এর আগে সোমবার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সগুলো আর্মি স্টেডিয়ামে পৌঁছায়।মরদেহগুলো আর্মি স্টেডিয়ামে স্থাপিত বিশেষ মঞ্চে নিয়ে যেতে দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সেখানে উপস্থিত স্বজনরাসহ সবাই। এসময় সেখানে এক শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে মরদেহে শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির পক্ষ থেকেও নিহতদের কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী শাহজাহান কামাল, বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরী, মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল ইসলাম প্রমুখ। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে মাইকে নাম ঘোষণা করে স্বজনদের কাছে একে একে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়। মরদেহ নিতে গিয়ে স্বজনদের আহাজারিতে উপস্থিত সবাই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
এর আগে বিকেল ৪টা ৫মিনিটে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে নিহত ২৩ জনের মরদেহ ঢাকায় পৌঁছে। সেখান থেকে ৪টা ৪৫ মিনিটে মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্সগুলো আর্মি স্টেডিয়ামের উদ্দেশে রওনা হয়।এই ২৩ জনের মধ্যে পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথূলা রশীদ এবং কেবিন ক্রু খাজা হোসেন মো. শফি ও শারমিন আক্তার নাবিলা রয়েছেন।
আর যাত্রীদের মধ্যে ফয়সাল আহমেদ, বিলকিস আরা, বেগম হুরুন নাহার বিলকিস বানু, আখতারা বেগম, নাজিয়া আফরিন চৌধুরী, রকিবুল হাসান, হাসান ইমাম, আঁখি মনি, মিনহাজ বিন নাসির, ফারুক হোসেন প্রিয়ক, তার মেয়ে প্রিয়ন্ময়ী তামারা, মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহিরা তানভিন শশী রেজা, বেগম উম্মে সালমা, মো. নুরুজ্জামান, রফিক জামান, তার স্ত্রী সানজিদা হক বিপাশা, তাদের ছেলে অনিরুদ্ধ জামানের মরদেহ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ৬৭ জন যাত্রী ও চার ক্রু নিয়ে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলার উড়োজাহাজটি। এতে মারা যান ৫১ জন। বিমানে বাংলাদেশি নাগরিক ছিলেন ৩৬ জন। তাদের মধ্যে ২৬ জন নিহত হন যাদের ২৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে।
পিডিএসও/রিহাব