আহত ৭ বাংলাদেশি কাঠমান্ডু ছাড়ার অনুমতি পেয়েছেন
নেপালে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত ১০ বাংলাদেশির মধ্যে ৭ জনকে কাঠমান্ডু ছাড়ার অনাপত্তিপত্র দেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে তাদের একজনকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্য ছয়জনও যেকোনও সময় কাঠমান্ডু ছাড়তে পারবেন। তবে বাকি তিন বাংলাদেশির বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কাঠমান্ডুর ওএম হাসপাতাল থেকে বাংলাদেশি নাগরিক মো. রেজওয়ানুল হককে সিঙ্গাপুরে নিয়ে গেছেন তার বাবা মো. মোজাম্মেল হক। অন্য যে ছয়জন চিকিৎসকদের অনাপত্তিপত্র পেয়েছেন তারা হলেন- শাহরিন আহমেদ, ইয়াকুব আলী, মেহেদি হাসান, এমরানা কবির হাসি, সৈয়দা কামরুন নাহার স্বর্ণা ও আলমুন নাহার অ্যানি।
এর মধ্যে ইয়াকুব আলী ও এমরানা কবির হাসিকে চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যাওয়া হবে। বাকিদের যেকোনও সময় বাংলাদেশে নিয়ে আসা হতে পারে। ইয়াকুব আলী নরভিক হাসপাতালে রয়েছেন, বাকি সবাই কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
এদিকে মো. শাহীন ব্যাপারী কাঠমান্ডু মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে এবং মো. কবীর হোসাইন ও শেখ রাশেদ রুবায়েত একই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের হাসপাতাল ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি।
অন্যদিকে নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ইউএস বাংলার বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত বাংলাদেশিদের অবস্থা উন্নতির দিকে।একজনের অবস্থা একটু সিরিয়াস। তাকে কয়েকজন ডাক্তার দেখবেন। এছাড়া সবাই স্থিতিশীল আছেন। দুয়েক দিনের মধ্যেই তারা চলে যেতে পারবেন। আমরা পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।’ বৃহস্পতিবার কাঠমান্ডু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
অন্যদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা যেভাবে গাইড করেবেন সেভাবেই কাজ করার চেষ্টা করবো। উনারা দেখে যদি বলেন যাওয়া যাবে, তাহলে উনাদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করবো।’
গত সোমবার নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার একটি বিমান ৬৭ যাত্রী ও চারজন ক্রু নিয়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। এছাড়া, ১০ জন বাংলাদেশি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পিডিএসও/তাজ