‘খেলাধুলায় মনোযোগী হলে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস কমবে’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘খেলাধুলার মধ্য দিয়েই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস এবং মাদক নির্মূল করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।’ শনিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় যুব গেমসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, `আজকে দেশের যুবকরা খেলাধুলায় মনোযোগী হলে দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস কমে যাবে। যুবকরা খেলাধুলায় জড়িত থাকলে তাদের মনোবল দৃঢ় হবে এবং প্রতিযোগী মনোভাব সম্পন্ন জাতি হিসেবে গড়ে উঠবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সদস্যরা খেলাধুলায় জড়িত ছিলেন। আমার বাবা ও দাদা খেলাধুলা পছন্দ করতেন। দাদার ফুটবল দলের সাথে বাবার দলের প্রায়ই প্রতিযোগিতা হতো। খেলাধুলাকে এগিয়ে নিতে আমার ভাই শেখ জামাল ও শেখ কামাল অনেক অবদান রেখে গেছে।’
এর আগে সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বেজে ওঠে জাতীয় সঙ্গীত। এবং ‘এক ঝলকে বাংলাদেশ যুব গেমস’- এর এভি প্রদর্শনীর পর মাঠে প্রবেশ করেন আট বিভাগের ক্রীড়াবিদরা।
উদ্বোধনের পর গেমসের মশাল প্রজ্বালন করেন কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণপদক জয়ী শুটার আসিফ হোসেন খান। গেমসের মাস্কট ‘তেজস্বী’।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনের আগে ৩০ মিনিটের অনুষ্ঠানপূর্ব আয়োজনও ছিল। সেখানে ডিজে শো’র পাশাপাশি বাংলাদেশের খেলাধুলার বিভিন্ন সাফল্য নিয়ে একটি প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়।
গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ভবিষ্যতের ক্রীড়াবিদ খুঁজে বের করার মিশন শুরু হয়। ২৩ হাজার ২১০ জন অংশ নিয়েছেন জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে। এখন বাছাই করা দুই হাজার ৬৬০ জন ক্রীড়াবিদ চূড়ান্ত পর্বে শ্রেষ্ঠত্ব দেখানোর অপেক্ষায়। শেষ পর্বে ১৫৯টি ইভেন্টে এক হাজার ১১২টি পদকের জন্য লড়াই করবেন তারা। লড়াই হবে ৩৪০টি স্বর্ণ, ৩৪০টি রৌপ্য এবং ৪৩২টি ব্রোঞ্জ পদকের জন্য।
চূড়ান্ত পর্বের ডিসিপ্লিনগুলো হলো — অ্যাথলেটিকস, সাঁতার, ফুটবল, কাবাডি, বাস্কেটবল, ভলিবল, হ্যান্ডবল, হকি, টেবিল টেনিস, ভারোত্তোলন, কুস্তি, উশু, শুটিং, আর্চারি, ব্যাডমিন্টন, বক্সিং, দাবা, জুডো, কারাতে, তায়কোয়ান্দো ও স্কোয়াশ।
পিডিএসও/তাজ