আখেরি মোনাজাতে শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা
আখেরি মোনাজাতে দেশ ও মুসলিমউম্মাহর শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনার মধ্যদিয়ে টঙ্গীর তুরাগ তীরের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হয়েছে। আখেরি মোনাজাতে লাখ লাখ মুসল্লি দুই হাত তুলে আল্লাহর দরবারে সৎ ও ন্যায়ের পথে থেকে ইসলামের মর্মবাণী অনুসরণের জন্য আল্লাহর করুণা প্রার্থনা করেছেন। এ সময় তারা চোখের জলে বিশ্বের সব মানুষের জন্য মঙ্গল কামনা করেন।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার কিছু আগে আখেরি মোনাজাত শুরু হয়। ইজতেমা ময়দানে বিদেশি নিবাসের পূর্বপাশে বিশেষভাবে স্থাপিত মঞ্চ থেকে এ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। এরআগে হয় হেদায়েতি বয়ান। ভারতের মাওলানা সাদ কয়েক বছর ধরে ইজতেমায় আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করলেও এবার তার পরিবর্তে বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদের ইমাম মাওলানা জোবায়ের আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন।
আখেরি মোনাজাত উপলক্ষে ইজতেমার মূল মঞ্চ থেকে আশপাশের সব জায়গা মুসল্লিদের আগমনে পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে। মানুষ অবস্থান নেয় রাজপথসহ আশপাশের বাসাবাড়ির ছাদে। মুসল্লিরা তুরাগ তীরে ইজতেমার শেষ দিনের আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকেই জড়ো হতে শুরু করেন। বাস, ট্রাক, ট্রেন, কাভার্ডভ্যান যে যেভাবে পারেন, শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে ছুটেন ইজতেমাস্থলের দিকে।
আজ ভোরে ফজরের নামাজের পর থেকে তাবলিগ জামাতের মুরব্বিরা বয়ান শুরু করেন। এর পর চলে হেদায়েতি বয়ান। সব শেষে হয় আখেরি মোনাজাত। আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবারের ৫৩তম বিশ্ব ইজতেমা। আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমা ১১ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার মুরব্বি গিয়াস উদ্দিন জানান, তাবলিগ জামাতের শীর্ষ মুরব্বিদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বছর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব ১১, ১২ ও ১৩ জানুয়ারি এবং চারদিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্ব ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি হবে।
পিডিএসও/হেলাল