শ্রদ্ধা-স্মরণে পালিত হচ্ছে শহীদ আসাদ দিবস
আজ ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস। ১৯৬৯ সালের এই দিনে পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আইয়ুব খান সরকারের বিরুদ্ধে এ দেশের ছাত্রসমাজের ১১ দফা কর্মসূচির মিছিলে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে জীবন দেন ছাত্রনেতা আসাদুজ্জামান।
প্রতিবারের মত এবারও সকাল ৮টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের মূল ফটকের সামনে নির্মিত শহীদ আসাদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ এবং নরসিংদীতে জেলা পার্টির উদ্যোগে শিবপুরে আসাদের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দিবসটি উদযাপন শুরু হয়েছে। এছাড়াও শহীদ আসাদ স্মরণে দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘দেশের স্বাধীনতার জন্য শহীদ আসাদের সর্বোচ্চ অবদান তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিবসটি উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন। তিনি বলেন, শহীদ আসাদের আত্মত্যাগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন আরও গতিশীল হয়।
আসাদ শহীদ হওয়ার পর তিন দিনের শোক পালন শেষে ওই বছরের ২৪ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ছয় দফা ও ছাত্রদের ১১ দফার ভিত্তিতে সর্বস্তরের মানুষের বাঁধভাঙা জোয়ার নামে ঢাকাসহ সারা বাংলার রাজপথে। সংঘটিত হয় ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান। পতন ঘটে আইয়ুব খানের। আরেক স্বৈরশাসক ইয়াহিয়া খান ক্ষমতায় বসে সাধারণ নির্বাচনের ঘোষণা দেন।
সত্তর সালের সেই অভূতপূর্ব নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। কিন্তু ইয়াহিয়া ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য নানা টালবাহানা শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় একাত্তর সালে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। মাত্র নয় মাস যুদ্ধের পর একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করে বাঙালি। বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নেয় বাংলাদেশ নামে একটি নতুন দেশের।
পিডিএসও/তাজ