সম্পাদকীয়

  ০৪ নভেম্বর, ২০১৯

শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড একটি ইতিবাচক চিন্তা

ভাবনাটা শুভ, না ইতিবাচক চিন্তাটা। ইতিবাচকই বলা যাক। তবে শুভ বললেও ভুল বলা হবে না। যেভাবেই বলা হোক না কেন, এই চিন্তার সঙ্গে জড়িয়ে আছে আগামী প্রজন্মের হাতে আগাম একটি উপহার তুলে দেওয়ার প্রচেষ্টা। যে উপহার হাতে পাওয়ার পর নতুন প্রজন্মের জন্য নতুন করে নতুন দায়িত্বের কথা মনে করে দেবে। অবশ্য রাষ্ট্রীয় পরিচয়পত্র তুলে দেওয়ার আগে ইলেকশন কমিশনকে (ইসি) সে দায়িত্বের কথা স্মরণ করে দিতে হবে। স্মরণ করে দিতে হবে এর গুরুত্ব। যাতে করে আগামী প্রজন্ম যেন বুঝতে পারে তাদের দেশ গড়ার কাজে কতটুকু দায়িত্বশীল হতে হবে। তবে গুরুত্ব অনুধাবনের আগে তাদের হাতে এ পরিচয়পত্র তুলে না দেওয়াটাই হবে ইতিবাচক চিন্তাটির ইতিবাচক দিক।

স্কুল শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে রাষ্ট্রীয় পরিচয়পত্র। এটি একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ। তথ্যমতে, স্কুল শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি। রাষ্ট্রীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার অংশ হিসেবে এ তথ্য সংগ্রহের দিকে এগোচ্ছে সংস্থাটি। কোন বয়স থেকে ছাত্রছাত্রীদের তথ্য সংগ্রহ করা হবে, এ বিষয়ে একটি খসড়াও তৈরি করছে তারা। ওই খসড়ায় ১০ বছরের বেশি বয়সিদের কথাই ভাবা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এ চিন্তাটির ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। কাজটি চলতি মাস অর্থাৎ নভেম্বরেই শুরু হবে। কাজ অনেকটা এগিয়েছে। সারা দেশে ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস রয়েছে ইসির। ওইসব অঞ্চলে প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে তথ্য সংগ্রহ শুরু করবে। এই তথ্য সংগ্রহের সফলতার ওপরই নির্ভর করছে পরবর্তী পদক্ষেপ।

ইসির পক্ষ থেকে বলা হয়, স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করার বিষয়ে একটা উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ইসি। লক্ষ্য একটাই। বাংলাদেশি পরিচয়ে সব নাগরিকের একটি নির্ভুল তথ্যসংবলিত পরিচয়পত্র দেওয়া। এটা ১০ বছর বয়সিদের দেওয়া সম্ভব হলে তাদের স্কুলে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে জীবনের অনেক কাজের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। নিজ পরিচয়ে অনেক কাজ নিজেরাই করার সুযোগ লাভ করবে। ইসির সিদ্ধান্ত রয়েছে, সব নাগরিকের হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া। ইতোমধ্যেই ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের আগাম তথ্য সংগ্রহ করেছে ইলেকশন কমিশন। ধাপে ধাপে এ কাজ করার চিন্তা থাকলেও আগামীর কথা ভেবে মাঝবয়সির বদলে ১০ বছর বা তার বেশি বয়সিদের তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিচ্ছে কমিশন।

এদিকে ভোটার তালিকা হালনাগাদের চূড়ান্ত তালিকা ১ মার্চ প্রকাশের কথা ভাবছে ইসি। কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে কমিশন বলছে, নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি- এ সময়ের মধ্যে বেশির ভাগ নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে থাকে। এ ছাড়া ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন জানুয়ারিতে করার চিন্তা থেকেও ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। আমরা মনে করি, রাষ্ট্রীয় পরিচয়পত্র পাওয়া দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের একটি নাগরিক অধিকার আর রাষ্ট্রের দায়িত্ব কোনো ধরনের জটিলতা ছাড়াই যথাযথভাবে প্রত্যেকটি নাগরিকের কাছে তা পৌঁছে দেওয়া। ইসি স্কুল শিক্ষার্থীদের হাতে এই পরিচয়পত্র তুলে দেওয়ার যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা প্রত্যেকটি নাগরিকের পরিচয়পত্র পাওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সম্পাদকীয়,আইডি কার্ড
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close