রায়হান আহমেদ তপাদার

  ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

গণতন্ত্রায়ন ও বিশ্বায়ন বাস্তবতা

স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির পূর্বে সামরিক শাসন ছিল বিশ্ব রাজনীতিতে একটি অনিবার্য বাস্তবতা। স্নায়ু যুদ্ধোত্তর রাজনীতিতে সামরিক হস্তক্ষেপের প্রবণতা অনেকটা কমে গেলেও, তা একেবারে নিঃশেষ হয়ে যায়নি। এখনো আফ্রো-এশিয়ার অনেক দেশেই সামরিক শাসনের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয়। সামরিক বাহিনী কোনো কোনো দেশে প্রত্যক্ষভাবে শাসন না করলেও পরোক্ষভাবে প্রভাব বিস্তার করছে। দুটো কারণে সামরিক বাহিনীর প্রভাব স্নায়ুযুদ্ধকালীন অবস্থা থেকে দুর্বল হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। পৃথিবীর প্রায় প্রতি প্রান্তে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে; এবং উন্নয়নশীল বহুদেশের সামরিক বাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।

প্রাচীনকালের বা মধ্যযুগের বা আধুনিককালের কর্তৃত্ববাদী শাসকদের মধ্যে মাত্রাগত পার্থক্য থাকলেও চরিত্রগত বা কার্যক্রমগত কোনো পার্থক্য এদের মধ্যে পরিলক্ষিত হয় না। কারণ কোনো কর্তৃত্ববাদী শাসকই জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাসী নয়। জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য অপরিহার্য বিভিন্ন উপাদান যেমন—অবাধ, নিরপেক্ষ, মুক্ত এবং স্বাধীন নির্বাচনের মাধ্যমে প্রতিনিধি বা সরকার বাছাই করার জনগণের অধিকার, জনগণের সকল মৌলিক ও নাগরিক অধিকার ভোগ করার বা শান্তিপূর্ণ জমায়েত ও সরকারের জনস্বার্থবিরোধী কাজের প্রতিবাদ করার অধিকার অস্বীকার করা বা সীমিত করা, মাইনোরিটির অধিকারের স্বীকৃতি ও তার নিশ্চয়তা দেওয়া এবং স্বাধীন বিচার বিভাগ, আইনের শাসন, বাক স্বাধীনতা সুনিশ্চিত করার নিশ্চিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা—এসব মৌলিক অধিকারগুলো কোনো কালে কোনো কর্তৃত্ববাদী শাসকই স্বীকার করেনি। বরং কীভাবে জনগণকে শৃঙ্খলিত করে শাসকের নিয়ন্ত্রণে ও কর্তৃত্বে রাখা যায় সে চেষ্টাই নিরন্তর করে থাকে কর্তৃত্ববাদী শাসকরা।

বর্তমান যুগের শাসক ও ঊনিশ-বিশ শতকের কর্তৃত্ববাদী শাসকদের মধ্যে চরিত্রগত কিছুটা তারতম্যও রয়েছে। একনায়ক বা কর্তৃত্ববাদী শাসকদের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ্য করা গেলেও এসব শাসকদের মৌলিক চরিত্র প্রায় একই। সর্বকালের কর্তৃত্ববাদী শাসকদের মূল চরিত্রই হলো, জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে বিরোধী মতকে স্তব্ধ করে দেওয়া, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতাসহ সকল প্রকারের মৌলিক এবং মিডিয়ার স্বাধীনতার অধিকারসমূহ খর্ব করে দিয়ে রাষ্ট্রের অন্তর্গত সকল বিষয়ের ওপর শাসকের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা এবং সর্বক্ষেত্রে কর্তৃত্ববাদী শাসকের সার্বভৌমত্ব কায়েম করা।

যা কিছু হচ্ছে, তা ঐ কর্তৃত্ববাদী শাসকের বদৌলতেই হচ্ছে, এমনটা প্রচার করে শাসককে ইহজাগতিক প্রভুতে পরিণত করার এক প্রচেষ্টা এ ধরনের শাসনে লক্ষ্য করা যায়। একুশ শতকের পৃথিবীতে কর্তৃত্ববাদী শাসন ও শাসকের চরিত্র কেমন, সেটা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে মি: কাগামীর বক্তব্য থেকে। আমার বিরোধী হওয়া সত্বেও আমার ভয়ে আমার বিরুদ্ধে টু-শব্দটি পর্যন্ত করে না, এমন বক্তব্যের মধ্যেই কর্তৃত্ববাদী শাসনে জনগণের সর্বপ্রকার অধিকারহীনতার স্বীকৃতি রয়েছে।

যুগে যুগে কর্তৃত্ববাদী শাসকের আবির্ভাব হয়েছে পৃথিবীতে, এটাও যেমন সত্য তেমনিভাবে এটাও সত্য যে, কর্তৃত্ববাদী শাসকের নির্মম পতনও প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ববাসী। তা সত্বেও কর্তৃত্ববাদী শাসকরা শিক্ষা নেয়নি কখনো। এমনকি নতুন নতুন অবাস্তব আদর্শ প্রচার করে এবং জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়ন নিশ্চিতের দোহাই দিয়ে ভিন্ন ভিন্ন প্রেক্ষাপটে সমকালীন বাস্তবতাকে বিবেচনায় না নিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসন জনগণের ওপর চাপিয়ে দিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসকরা রাষ্ট্র শাসন করে গেছে বা বিদ্যমান বিশ্বব্যবস্থায়ও তেমন ধরনের শাসকরা জনগণের ওপর কর্তৃত্ববাদ চাপিয়ে দিয়ে দেশ শাসন করে চলেছে।

রোয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট পল কাগামাকে এক পশ্চিমা সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন—আপনার সমর্থকের সংখ্যা বর্তমানে কত শতাংশ হতে পারে বলে আপনি মনে করেন? প্রতি উত্তরে মি. কাগামী বলেন ৮০% শতাংশ। ২০% শতাংশ লোক আমার বিরোধী পক্ষে রয়েছে বলে মনে করা হয়। তবে বিরোধী পক্ষের ওই ২০% শতাংশও কিন্তু আমাকে ভয় পায় বিধায় একদম নিশ্চুপ হয়ে গেছে, আমার বা আমার শাসনের বিরুদ্ধে টু-শব্দটি পর্যন্ত করার সাহস তাদের নেই জনগণ জেনে-বুঝেও শাসকের প্রতি এক প্রকারের আনুগত্য প্রকাশ করে বলে মনে করা হলেও মূলত জনগণ ভয়ের মধ্যে থাকে বলেই শাসকের বিরুদ্ধে টু-শব্দটি পর্যন্তও করে না। কেননা, শাসক তার প্রতি আনুগত্য আদায় করার জন্য জনগণের মধ্যে ভীতি সঞ্চারের উদ্দেশে গোটা রাষ্ট্র যন্ত্রকে অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ করে জনগণকে অত্যাচার-নির্যাতন ও জেল জুলুমের ভয় দেখিয়ে ভিন্নমত দমন করে শাসকের প্রতি জনগণের আনুগত্য আদায় করার জন্য সচেষ্ট থাকে এবং মি. কাগামীর মতানুযায়ী বিরোধী মতের লোকেরা শাসকের প্রতি টু-শব্দটি পর্যন্ত করে না, ওই ভয়ের কারণেই। পক্ষান্তরে-কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত এক শাসন ব্যবস্থা।


একুশ শতকের পৃথিবীতে গণতন্ত্রের বিপরীতে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থাকে একটি উন্নয়ন মডেল হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। ‘আগে উন্নয়ন, পরে গণতন্ত্র’ এমন একটি প্রচারণা সামনে নিয়ে আসা হয়েছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে। ফলে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে এবং পক্ষান্তরে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার রাষ্ট্রের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ মুক্ত সমাজব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে এবং বদ্ধ সমাজব্যবস্থার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে


যেখানে মানুষের সকল প্রকার মৌলিক অধিকারের ওপর এক ধরনের ঘোষিত এবং অঘোষিত নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়ে থাকে বলে মানুষের মৌলিক অধিকার বিপন্ন হয়ে পড়ে। সর্বদাই শাসকের গুণগান করা কর্তৃত্ববাদী শাসনের এক মৌলিক বৈশিষ্ট্যে পরিণত হয়। শাসকের বিরুদ্ধে যায় এমন ধরনের সর্ব প্রকারের মত প্রকাশ ও প্রচারের অধিকার নিষিদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত থাকে বলে এ ধরনের শাসনাধীন সমাজকে ‘বদ্ধ সমাজ’ বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে।

বিংশ শতকে গণতন্ত্রের জোয়ার বয়ে গিয়েছিল বিশ্বব্যবস্থায়। গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা ছিল উন্নয়ন মডেলের একটি মৌলিক উপাদান। এর মধ্যেই জনগণের প্রকৃত মৌলিক অধিকারের বিষয়টি খোঁজা হয়েছিল। তাই দেশে-দেশে ছিল গণতন্ত্রের জয়জয়কার। তবে একুশ শতকের পৃথিবীতে গণতন্ত্রের বিপরীতে কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থাকে একটি উন্নয়ন মডেল হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। ‘আগে উন্নয়ন, পরে গণতন্ত্র’ এমন একটি প্রচারণা সামনে নিয়ে আসা হয়েছে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে। ফলে বিশ্বের দেশগুলোতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে এবং পক্ষান্তরে কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থার রাষ্ট্রের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ মুক্তসমাজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে এবং ‘বদ্ধ সমাজ’ ব্যবস্থার সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।

কর্তৃত্ববাদী শাসনে মানুষকে জোরপূর্বক বাকহারা করার চেষ্টা করা হচ্ছে উন্নয়নের নামে। এসব দেশগুলোতে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে একজন মাত্র শাসকের পদতলে নিয়ে এসে সকল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ক্ষুদ্র একটি পরিবার ও চক্রিদলের হাতে কেন্দ্রীভূত করে গণতন্ত্রের কফিনের ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক কর্তৃত্ববাদী শাসনের মিনার। আর এখানে মানুষের সকল অধিকার অস্বীকার করে শাসনব্যবস্থার মিনারের চূড়ায় বসে থাকা শাসকের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে বলপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে জনগণের ওপর। জনগণের সমর্থন আছে কি-নেই সে সম্পর্কে ভ্রুক্ষেপ করা হয় না।

জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসই তাদের ক্ষমতার ভিত্তি বলে দাবি করেন; যদিও ক্ষমতায় টিকে থাকেন বিরোধী মতকে নির্মমভাবে দমন করে। যেমন—তুরস্কের বর্তমান শাসক রিসেপ এরদোয়ান একজন লোকরঞ্জনবাদী একনায়ক; কিন্তু তিনি তার ক্ষমতা নিরংকুশ করে চলেছেন কঠোরভাবে বিরোধী মত দমন করে। একই কথা রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বেলায়ও প্রযোজ্য। কর্তৃত্ববাদী শাসনে দেশের সংবিধানকে এমনভাবে সাজানো হয় যা একমাত্র শাসকের অনুকূল ক্ষেত্র সৃষ্টি করে মাত্র। সংবিধানের দোহাই দিয়ে শাসকরা রাষ্ট্রযন্ত্র ও এর সকল প্রতিষ্ঠানের ওপর অবাধ ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করে থাকে। অর্থাৎ শাসক নিজের ক্ষমতাকে নিরংকুশ করার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন করার লক্ষ্যে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত বিস্তৃত মধ্যবর্তী সকল প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে দিয়ে এর ওপর নিজের কর্তৃত্ব স্থাপন ও কায়েম করে যাতে বাধাহীনভাবে শাসকের আকাংখার বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়।

আধুনিককালের লোকরঞ্জনবাদী কর্তৃত্ব পরায়ন শাসকরা নিজেদেরকে সাধারণত চারস্তর বিশিষ্ট পিরামিডের সর্বোচ্চ চূড়ায় স্থাপন করেন, যেখানে শাসকই হলেন একমাত্র পূজনীয়; রাষ্ট্রের সকল কিছুই পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয় একমাত্র শাসকের কর্তৃত্বে। যেমন—সক্রিয়, অন্ধ অনুগত একদল সমর্থক গোষ্ঠী, বাহ্যত দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী জনগোষ্ঠী, সমর্থকগোষ্ঠী যারা সত্যিকারভাবেই বিশ্বাস করে শাসকের অধীনে দেশ ও জনগণের উন্নতি নিশ্চিত হয়েছে। এ ধরনের শাসনে এমন একদল লোকের উদ্ভব হয় যারা শাসকের বদৌলতে সুবিধাপ্রাপ্ত এবং এরা সুবিধাভোগী। এবং খুন, গুম, ভয়ভীতির কারণে একদল লোক শাসককে সমর্থন দিয়ে থাকে, শাসকের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে।

এ ধরনের চার স্তরের মিনারের চূড়ায় বসে শাসক রাষ্ট্র ও সমাজের সকল কিছু, বিশেষ করে রাজনীতি, অর্থনীতি, সমাজ-সংস্কৃতি এবং বুদ্ধিবৃত্তিক জীবনের ওপর পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে জনগণের সকল মৌলিক অধিকারের উপাদানসমূহ হত্যা করে এবং হত্যা করে সকল বিরোধী মত ও পথকে। দীর্ঘকাল দেশের ভিতরে ও বাইরে গণতন্ত্রের পরিচর্যা নেই। ফলে যেসব ভূখণ্ডে গণতন্ত্রের ফুল ফুটেছিল সেখানে আগাছা জন্মেছে জঙ্গল এসে ফুলের বাগানে ঢুকে পড়েছে। তাই অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক দুই দিক থেকে গণতন্ত্র চাপের মধ্যে পড়েছে।

ব্রাজিল, ভারত, আফ্রিকার দেশগুলো অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেনি। আঞ্চলিক দৃষ্টিকোণ ও সংকীর্ণতায় আটকিয়ে যায়। অপরদিকে গণতান্ত্রিক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য এবং তাদের মিত্র রাষ্ট্রগুলো স্বার্থনির্ভর হিসাব-নিকাশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে যে ভূমিকা পালন করেছে তাতে শতভাগ সততা ছিল না। রাশিয়ার সঙ্গে তুরস্কের অত্যন্ত খারাপ সম্পর্ক বিদ্যমান ছিল। তুরস্কের অভ্যূত্থান হতে প্রেসিডেন্ট এরদোগান বেঁচে যাওয়ার পর রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্কের ভাটা পড়ে। প্রকৃত অর্থে পশ্চিমা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে কর্তৃত্ববাদী ঐক্যের সৃষ্টি হয়।

বেক্সিটের পর চীনের সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদপত্র পিপলস ডেইলির মন্তব্য হচ্ছে, এটা পশ্চিমা গণতন্ত্রের মৌলিক ভুলের ফসল। পরাশক্তি আমেরিকায় গণতান্ত্রিক শাসনে বর্ণবাদ ও অসহিষ্ণুতা, সামাজিক জটিল সমস্যা নিরসনে ব্যর্থ। দ্যা গ্লোবাল টাইমস লিখেছে—পশ্চিমের সন্ত্রাসী হামলাগুলো আসলে গণতন্ত্র ধসে পড়ার ইঙ্গিত। এ বিষয়ে রবার্ট কেগান লিখছেন—মানব সত্যতার শাসনের ইতিহাসে গণতান্ত্রিক শাসনের চেয়ে কর্তৃত্ব পরায়ন শাসনের ইতিহাসই দীর্ঘ।

লেখক ও কলামিস্ট [email protected]

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
বিশ্বায়ন,গণতন্ত্র,কলাম,শাসন ব্যবস্থা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close