কর্মোদ্যম ফিরিয়ে আনার ৫টি খাবার
শরীর ও মনের বিষাদ ও অবসন্নতা দূর করবার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ কিংবা ওষুধের সাহায্য নেয়া হয়। অথচ কিছু খাবার এমন রয়েছে, যেগুলো চটজলদি আপনার মনকে করে তুলতে পারে উৎফুল্ল ও প্রাণবন্ত । অপরদিকে নির্দিষ্ট কিছু মিনারেল ও ভিটামিন যেমন ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন সি, আয়রন, পটাসিয়াম, জিঙ্কের অভাবে এন্ডোরফিনের স্বাভাবিক পরিমাণ কমে গেলে আপনাকে করে তুলবে বিষণ্ণ, অবসাদগ্রস্ত এবং এমনকি কর্মশক্তিও হ্রাস পেতে পারে । তাই শুধুমাত্র অতিরিক্ত মানসিক চাপই না বরং ভুল খাবারও দায়ী হতে পারে শরীরের অবসাদের গুরুত্বপূর্ণ কারণ । সুতরাং এমন কিছু সঠিক খাদ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দূর হতে পারে আপনার অবসাদ -ক্লান্তি এবং আপনি ফিরে পাবেন কর্মোদ্যম। আসুন জেনে নিই এমন ৫টি খাবারের গুণাগুণ।
বাদাম : সহজলভ্য খাবারটিতে রয়েছে ভিটামিন-বি, প্রোটিন এবং সেলেনিয়াম নামক একটি মিনারেল যা মানব মনের উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব দেখায় । বিশেষত কাঠবাদামে রয়েছে উচ্চমাত্রায় টাইরোসিন যা ডোপামিন এবং আরও কিছু নিউরোট্রান্সমিটারের প্রধান উপাদান । তাই এক মুঠো কাঠবাদাম কেবল আপনার হৃদস্বাস্থ্যকেই সুরক্ষিত করবে না, বিভিন্ন ফ্যাটি এসিডের জন্য এটি আপনার মেজাজকেও রাখবে চনমনে । এতে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি হওয়ায় অধিক ক্যালরি বহন করে। ভেজিটেরিয়ানদের জন্য তাই এটি একটি ভালো প্রোটিনের উৎস ।
তিল : তিল প্রোটিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-ই এবং ক্যালসিয়ামের একটি সমৃদ্ধ উৎস । বাদামের মতই এতে উচ্চ মাত্রায় ফ্যাট থাকলেও তা অসম্পৃক্ত এবং মানবদেহ তথা মনের জন্য উপকারী । নিরামিষভোজীদের জন্য তিল প্রোটিনের আরেকটি ভালো উৎস ।
আপেল : এই ফলটিতে রয়েছে কোয়েরসিটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা মস্তিষ্কের নিউরন লাইনিংকে বহিরাগত উন্মুক্ত যৌগ-মূলকের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে । গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্রতিদিন এক গ্লাস আপেল জুস ২৭% পর্যন্ত অবসন্নতা, অস্থিরতা এবং বিভ্রম হ্রাস করে । তবে আপেলের খোসাতেই রয়েছে এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সিংহভাগ । তাই আপেলের চামড়া ফেলে খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আজই তা পাল্টে ফেলুন ।
পালং শাক : এই সবুজ শাকটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড ও ভিটামিন-বি যা আপনার মেজাজের তাৎক্ষনিক পরিবর্তন করে । এতে আরও রয়েছে আয়রন যা প্রচুর শক্তি উৎপাদন করে এবং কোষে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে যা মস্তিস্ককে রাখে সচল এবং রোধ করে মনের দোদুল্যমানতা।
স্ট্রবেরি : উচ্চ মাত্রায় ভিটামিন সি যা এন্ডোরফিনের উৎপাদনকে বেগবান করে এবং আয়রনের শোষণে সাহায্য করে স্ট্রবেরি । এতে আরও রয়েছে পটাসিয়াম যা নার্ভের কার্যক্ষমতাকে ত্বরান্বিত করে। এগুলো বেশ শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহে উৎপন্ন অযাচিত এবং বিষাক্ত ক্যামিকেলের নিষ্কাশনে কাজ করে থাকে। স্ট্রবেরির মিষ্টতা তার নিজস্ব ভেজিটেবল সুগারের জন্যই, এতে ক্ষতিকর বাড়তি কোন কার্বোহাইড্রেড নেই । তাই যে কোনো সময় স্ট্রবেরি খেতে পারেন।
পিডিএসও/তাজ