গুলজার খান ৩৬ সন্তানের জনক
পাকিস্তানে ৩ পিতার ৯৬ সন্তান...
পাকিস্তানের নাগরিক গুলজার খান ৩৬ সন্তানের জন্ম দিয়েছে। একইভাবে ৩ জন পাকিস্তানির রয়েছে ৯৬টি সন্তান। গুলজার খানের ভাষ্য, আল্লাহই ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবেন। চারপাশের সন্তানদের দেখিয়ে এই মন্তব্য করলেন ৫৭ বছর বয়সী এই ব্যক্তি। তিনি যখন কথা বলছিলেন তখন চারপাশ থেকে তাকে ঘিরে ছিল নানা বয়সী ২৩ সন্তান। বাকি ১৩ সন্তান আশপাশে কোথাও ছিল। আরও এক সন্তান আসন্ন। তবে এত সন্তান নিয়ে মোটেও বিচলিত নন তিনি। তার ভাষায়, আল্লাহ ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবেন। তাছাড়া পারিবারিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার জন্য বেশি সন্তান প্রয়োজন। তার মতোই ভাবনা ৭০ বছর বয়সী বড় ভাই মাস্তান খান ওয়াজিরের। ভাইয়ের মতো তারও ৩ স্ত্রী। তবে ভাইয়ের তুলনায় তার সন্তান কম মাত্র ২২ জন। তার নাতি-নাতনির সংখ্যা এত বেশি যে সংখ্যায় ঠিক কত তা তিনি বলতে পারেন না। আর এই দুজনের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই এমন আরেক জন হচ্ছেন জান মোহাম্মেদ। তারও ৩ স্ত্রী। সন্তান সংখ্যা ৩৮। তার লক্ষ্য আরেকটি বিয়ে করে সন্তানসংখ্যা ১০০-তে উন্নীত করা।
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ৯৬ সন্তানের জনক এই ৩ জনের বাড়িই পাকিস্তানে। খবরে বলা হয়েছে, বেশি সন্তান গ্রহণের কারণে পাকিস্তানে এখন জনসংখ্যা ঊর্ধ্বগতিতে বাড়ছে। গত ১৯ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি হারে জনসংখ্যা বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সন্তান জন্মদানে পাকিস্তান এখন শীর্ষে। সেখানে একজন নারী গড়ে ৩ সন্তানের জন্ম দেন। ১৯৯৮ সালে পাকিস্তানের জনসংখ্যা সাড়ে ১৩ কোটি ছিল। এখন তা ২০ কোটি ছুঁই–ছুঁই। ৬ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুন খাওয়ার দক্ষিণাঞ্চলের জেলা বানুর বাসিন্দা ৩৬ সন্তানের জনক গুলজার খান বলেন, আল্লাহ এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টি করেছেন। তাই কেন আমি শিশু জন্মের প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বাধা দেব? ইসলাম জন্মনিয়ন্ত্রণ সমর্থন করে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমরা শক্তিশালী হতে চেয়েছি। তিনি বলেন, তার এত সন্তান হওয়ায় সবাই মিলেই একটি পুরো ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে পারে। তাদের খেলার জন্য কোনো বন্ধুরও প্রয়োজন হয় না। তার তৃতীয় স্ত্রী এখন অন্তঃসত্ত্বা বলেও তিনি জানান। গুলজার খানের ১৫ ভাইবোনের একজন মাস্তান খান ওয়াজিরের সন্তান ২২ জন। তিনি বলেন, আল্লাহ আমাদের খাবার ও সম্পদ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু লোকজনের বিশ্বাস কম।পিডিএসও/মুস্তাফিজ