মুকুল মাসুদ, গাইবান্ধা
সুন্দরগঞ্জে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার
একটি সাঁকোই ৮ বছর ধরে ১০ গ্রামের ভরসা
নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলবাসির এখন একমাত্র ভরসা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন পথচারীগণ। তারাপুর ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তার শাখা নদী ও তাম্বুলপুর ছড়ার উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে দীর্ঘদিন থেকে পারাপার হচ্ছেন ওই ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের মানুষজন। স্থানীয় ব্যক্তিবর্গের উদ্দ্যোগে এবং স্বেচ্ছা শ্রমের ভিত্তিতে ৮ বছর আগে নির্মাণ করা হয় ওই বাঁশের সাঁকো। মাঝে-মাঝে মেরামত করা হয়েছিল। বর্তমানে সাঁকোটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগে কাল বৈশাখী ঝড়ে সাঁকোটির একটি অংশ লন্ড-ভন্ড হয়ে যায়। যার কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারীগণ।
স্থানীয় আব্দুল জলিল জানান- দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ওই ছড়ার উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার করছেন সাধারণ জনগণ। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওই ছড়ার উপর ব্রিজ নির্মাণ করা হয়নি। আমরা এলাকাবাসী বহুবার স্থানীয় এমপি ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন দপ্তরের আবেদন করেছিলাম। সরকারি-বেসরকারিভাবে ব্রিজ নির্মাণের কোন উদ্দ্যোগ গ্রহণ না করায় আমরা এলাকাবাসী মিলে বাঁশ, কাঠ সংগ্রহ করে স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে সাঁকোটি নির্মাণ করে তার উপর দিয়ে যাতায়াত করে আসছি।
তিনি আরও বলেন-যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় চরাঞ্চলের ১০টি গ্রামের স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ পড়–য়া শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে এবং সাইকেল নিয়ে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাফেরা করে আসছে। লাঠশালার চরের ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান জানান-ছড়ার উপর ব্রিজ না থাকায় ১০ কিলোমিটার পথ ঘুরে মালামাল নিয়ে আসতে হচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লেবু জানান, ছড়াটি পার্শ্ববতী পীরগাছা উপজেলা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সীমানার মধ্যে হওয়ায় ব্রিজ নির্মাণ নিয়ে জটিলতা রয়েছে। এনিয়ে আমি উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে কয়েক দফা যোগাযোগ করেছি। তিনি বলেন, ব্রিজটি নির্মাণ হলে ২ উপজেলার মধ্যে সেতু বন্ধন তৈরি হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী আবুল মুনছুর জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।পিডিএসও/রানা