তানজিন তিপিয়া
ঐতিহ্যবাহী শীতের পিঠা
পিঠাপুলির দেশ, আমাদের বাংলাদেশ। শীতের মৌসুমে নবান্নের পিঠা পুলি তৈরি করা বাংলার ঐতিহ্যেরই একটি অংশ। সেসব ঐতিহ্যবাহী পিঠার সমারোহ নিয়ে আজ প্রথম পর্বের আয়োজন।
দুধ চিতই
উপকরণ : চালের গুড়ো ২ কাপ, পানি ৩ কাপের কম, লবণ ১ চা চামচ, ডিম ২টি।
প্রস্তুত প্রণালি : চালের গুঁড়াতে পানি আস্তে আস্তে দিন যাতে বেশি পাতলা না হয়। তারপর পাতলা মিশ্রণটি এভাবেই ২০-৩০ মিনিট রাখুন। সঙ্গে ডিম মিশিয়ে দিন। চুলার আঁচ মাঝারি থেকে একটু বেশি রাখবেন। এবার পিঠা তৈরির গরম ডাইজে মিশ্রণ দিয়ে অন্তত ২ মিনিট ঢেকে রাখুন। এভাবেই একে একে তৈরি করে
মিষ্টি দুধে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিলেই দুধ চিতই তৈরি।
দুধ তৈরি: ১ লিটার তরল দুধে একটি করে এলাচ, তেজপাতা, লবঙ্গ, দারচিনি ও ৬ টেবিল চামচ চিনি দিয়ে সেদ্ধ হলেই দুধ তৈরি।
বি.দ্র. পিঠার ডাইজ/তাবা না থাকলে ননস্টিক প্যানে তৈরি করতে পারবেন অথবা এমন কড়াই নিন যেটাতে সবসময় ভাজার কাজ হয়। আর অবশ্যই কড়াই উল্টো করে চুলার আঁচ বাড়িয়ে ২ মি. পোড়াবেন। এতে পিঠার তলা কড়াইতে না লেগে সহজে উঠে যাবে। সঙ্গে তেল মাখাতে হবে।
বেসন পিঠা
উপকরণ : নতুন সিদ্ধ চালের গুঁড়া ১ কাপ, বেসন ১ কাপ, চিনি ১ কাপ, আড়াই কাপ পানি, লবণ আধা চা চামচ।
প্রস্তুত প্রণালি : পানি চিনি ও লবণ ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত পানিতে বেসন ও চালের গুঁড়া মিশিয়ে ২ মিনিট মৃদু আঁচে দমে রাখুন। আটার সাহায্যে হাতে ভালোভাবে মলে তারপর রুটি বেলে ইচ্ছামতো আকার দিয়ে ডুবু তেলে হালকা সোনালি করে ভাজলেই বেসন পিঠা তৈরি।
পুলি পিঠা
উপকরণ : চালের গুঁড়া ৮ টেবিল চামচ, ২ কাপ পানি, লবণ আধা চা চামচ, নারকেল ১টি কোরানো, চিনি ১ কাপ।
প্রস্তুত প্রণালি : পানি ও লবণ ফুটিয়ে নিন। ফুটন্ত পানিতে চালের গুঁড়া মিশিয়ে ২ মিনিট মৃদু আঁচে দমে রাখুন। হাতে ভালোভাবে মলে ময়দার সাহায্যে নারকেলের পুর ভরে ডুবুু তেলে হালকা সোনালি করে ভাজলেই পুলিপিঠা তৈরি।
নারকেলের পুর : ১টি নারকেল কোরানো ও ১ কাপ চিনি একত্রে জ্বাল দিন। চিনি গলে নারকেল লালচে হয়ে এলেই পুর তৈরি।
পুয়া পিঠা
উপকরণ : চালের গুঁড়া ১ কাপ, ময়দা ১ কাপ, পানি ২ কাপ, চিনি ৭ টেবিল চামচ, ডিম ২টি, লবণ ২ চিমটি, নারকেল কোরানো ১টির অর্ধেক।
প্রস্তুত প্রণালি : সব উপকরণ একত্রে মাখিয়ে পাতলা মিশ্রণ তৈরি করুন, তারপর চুলোর আঁচ মাঝারি রেখে ডুবু তেলে সোনালি করে ভাজলেই পুয়া পিঠা তৈরি।
পিডিএসও/হেলাল