reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৫ আগস্ট, ২০১৯

কোন ধরনের পাত্রে রান্না কতটা নিরাপদ

স্বাস্থ্য ও পুষ্টির কথা মাথায় রাখলে, ঘরে রান্না করে খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই, কিন্তু রান্না ও খাওয়ার কাজে কোন পাত্র ব্যবহার করছেন, সেটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ ভুল পাত্রে রান্না করলে এই পাত্র থেকে কিছু উপাদান মিশে খাবারকে বিষাক্ত করে দিতে পারে৷ এ থেকে দেখা দিতে পারে বিভিন্ন অসুখ৷

কোন পাত্রে রান্না কতটা নিরাপদ জেনে নিন :

অ্যালুমিনিয়াম : অক্সিডাইজ করা থাকে বলে এতে রান্না করলে বা গরম করলে খাবার দূষিত হয় না৷ তবে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে গরম খাবার রাখলে বা এতে জড়িয়ে রান্না করলে সে খাবার দূষিত হতে পারে৷

নন–স্টিক প্যান : শৌখিন রান্নাঘরের অঙ্গ৷ কম তেলে রান্না করতে ও সহজে পরিষ্কার করতে এর জুড়ি মেলা ভার৷ টেফলন, সিলভারস্টোন, টেফাল, অ্যানোলন, সার্কুলন, সেফালনসহ আরও অনেকে উপাদান রয়েছে এসব পাত্রে। যা রান্নার সময়ে খাবারের সঙ্গে মিশে দূষিত করে। সাম্প্রতিক গবেষণা থেকে জানা গেছে ,এসব উপাদানের সঙ্গে বন্ধ্যাত্ব, পড়াশোনার দক্ষতা কমে যাওয়া ও ওজন বাড়ার একটা যোগ আছে৷

স্টেইনলেস স্টিল : ভাল মানের স্টিল দেখতে ভাল, কাজেও ভাল৷ এই ধরনের বাসন থেকে কোনও ক্ষতিকর ধাতু খাবারে এসে মেশে না৷ যদিও আয়রন, ক্রোমিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ মিশলে বরং ভাল, কারণ আমাদের শরীরে এদের প্রয়োজনীয়তা আছে৷

কিছু স্টিলের পাত্রে অ্যালুমিনিয়াম বা তামার প্রলেপ দেওয়া থাকে৷ কখনও আবার পাত্রের নীচে থাকে তামার প্রলেপ৷ অনেকক্ষণ তাপ ধরে রাখার জন্যই এসব করা হয় সচরাচর৷ তবে স্টিলের দুটি স্তরের মাঝে স্যান্ডুইচের মতো করে দেওয়া থাকে বলে, প্রবল ঘষাঘষিতে উপরের স্তর উঠে না গেলে কোনও ক্ষতি হয় না৷

লোহার পাত্র : লোহার পাত্র দেখতে খুব একটা ভাল হয় না৷ তার উপর এতে রান্না করলে খাবার অনেক সময় কালো হয়ে যায়৷ টমেটো, লেবুর রস বা ভিনিগার দিয়ে করলে তো আর কথাই নেই৷ কিন্তু এসব না ভেবে যদি লোহার কড়াই ব্যবহার করেন, কড়াই থেকে লোহা খাবারে মিশে পুষ্টি বাড়িয়ে দেবে৷ তবে হ্যাঁ, পলিসাইথিমিয়া নামে বেশি রক্ত থাকার অসুখ বা থ্যালাসেমিয়া রোগ থাকলে নিয়মিত ব্যবহারে সমস্যা হতে পারে৷

তামা : এজেন্সি ফর টক্সিক সাবস্ট্যান্স ও ডিজিজ রেজিস্ট্রি (এটিএসডিআর)–এর প্রায়োরিটি টক্সিন তালিকার বেশ উঁচুতেই রয়েছে তামার নাম৷ সুস্বাস্থ্যের জন্য এর প্রয়োজন রয়েছে। ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্স–এর ডায়াটারি রেফারেন্স ইনটেক্সের মতে পূর্ণবয়ষ্ক মানুষের দিনে ৯০০ মাইক্রোগ্রামের মতো তামা দরকার৷ আর তার পরিমাণ ১০,০০০ মাইক্রোগ্রাম বা ১০ মিলিগ্রামের থেকে বেড়ে না গেলে কোনও ক্ষতি নেই৷ কাজেই এসব পাত্রে রান্না করলে কি খেলে ভাল ছাড়া মন্দ হওয়ার সম্ভাবনা খুব একটা নেই৷

মেলামাইন : এতে খাবার গরম করা বা রান্না না করাই ভাল৷ কারণ গলে না গেলেও এ থেকে সামান্য পরিমাণে বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে খাবারে মিশতে পারে৷ মাইক্রোওয়েভ আভেন বা ডিশ ওয়াশারের তাপেও একই ব্যাপার ঘটতে পারে, যতই তা মাইক্রোওভেন-টেকসই বলা হোক না কেন৷

সিরামিক : যেভাবে খুশি ব্যবহার করা যায়৷ এতে গরম খাবার যেমন খাওয়া যায়, তেমনি রান্না করলেও ক্ষতি নেই৷ মাইক্রোওভেন, ডিশ ওয়াশার বা ব্রয়লারের তাপেও সে ঠিকঠাক থাকে৷ দেখতেও সুন্দর৷

মাটি বা পাথরের পাত্র : আগেকার দিনে মাটির হাঁড়িতে ভাত রান্না করার চল ছিল৷ পানি রাখা হতো মাটির কলসি বা কুঁজোতে৷ গরমকালে সেই পানি খাওয়ার মজাই ছিল আলাদা৷ আজকাল অনেকে শখ করে পাথরের পাত্র ব্যবহার করেন৷ এতে ক্ষতির কিছু নেই৷

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রান্না,রান্নার পাত্র,নিরাপদ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close