পাঠান সোহাগ

  ২৯ মে, ২০১৮

ইফতারে হালিমের দারুণ কদর

ইফতারিতে মামা হালিমের কদর রয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষজন ছুটে আসে কলাবাগানের লেক সার্কাস রোডে এ মজাদার খাবার নিতে। এ ছাড়াও নগরীর অলিগলিসহ অভিজাত এলাকায় হরেকরকম হালিম পাওয়া যায়। সেগুলোও পছন্দ করেন রোজাদাররা।

পুরান ঢাকার চকবাজারে হালিম বিক্রি হচ্ছে আমানিয়া রেস্টুরেন্ট, ডিসেন্ট পেস্ট্রি শপ, বোম্বে কনফেকশনারি, আলাউদ্দিন সুইটমিট ও আনন্দ, জনসন রোডের হোটেল স্টার, হোটেল ঘরোয়া, মতিঝিল ঘরোয়া, গোপীবাগের খাজা হালিম এবং বেইলি রোডের ফখরুদ্দীন, নবাবি ভোজসহ বিভিন্ন দোকানে। তারকা হোটেল থেকে গলির হোটেলে বিক্রি হয় হালিম, বাড়িতেও তৈরি হয়।

রাজধানীর কলাবাগানের লেক সার্কাস এলাকায় মামা হালিমের স্বত্বাধিকারী দীন মোহাম্মদ মনু। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকেই হালিম বিক্রি শুরু করি। এর আগে মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পে হালিমের দোকানে কাজ করতাম। সেখানে হালিম রান্না শিখি।’

তিনি বলেন, সব সময় চেষ্টা করি গুণ-মান ঠিক রাখতে। সব কিছু আগের মতোই আছে। ভিন্ন স্বাদের মসলা গুণগত মান, স্বাদ ও সুগন্ধে ভূমিকা রাখে। ডাল ও মসলার পরিমিত অনুপাতই মামা হালিমকে সুস্বাদু করে।

রাজধানীর হালিম বিক্রেতারা বলেন, হালিম তৈরির মূল উপাদান হলো বিভিন্ন ডাল, গম ও মাংস। গরু, খাসি ও মুরগি তিন ধরনের মাংসের হালিম পাওয়া যায়। সঙ্গে ব্যবহার করা হয় নানা রকম মসলা। হালিমে ডাল ও মসলার সঠিক অনুপাতই এর মজাদার স্বাদের মূল রহস্য। হালিমের স্বাদ বাড়াতে এর ওপর দেওয়া হয় সালাদ, টক ও ভাজা পেঁয়াজ।

মামা হালিমের বিক্রেতারা বলেন, পাত্রের আকার ও হালিমের পরিমাণ অনুযায়ী ঠিক করা হয় এর মূল্য। সবচেয়ে ছোট পাত্রে ১৫০ টাকা আর বড় পাত্রে ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন পরিমাণে বিক্রি হয় মামা হালিম। ১০ জন খেতে পারবে— এমন হালিমের দাম পড়বে ৭৫০ টাকা। তিনি আরো বলেন, বেলা আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত হালিম বিক্রি হয়।

তবে রমজান মাসে বিক্রি ইফতারের আগেই শেষ হয়। রয়েছে হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা। রমজানে মামা হালিমের চাহিদা এতটাই বেড়ে যায় যে, মানুষকে লাইনে দাঁড়িয়ে কিনতে হয়। চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতারির বাজারেও পাওয়া যায় এ হালিম। ডিসেন্টর হালিম পাওয়া যায় ১৫০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে। পুরান ঢাকার নর্থ রোড়ে খাসি হালিম ৪০০ থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।

গতকাল সোমবার মিরপুর থেকে কলাবাগানের মামা হালিম কিনতে এসেছেন আলম। তিনি বলেন, প্রতি বছর রমজানেই মামা হালিম কিনতে আসি। অন্যদের থেকে এ হালিম বেশ ভালো। বনানীর তানিম বলেন, মাঝেমধ্যেই মামা হালিম কেনা হয়। রমজানে এই প্রথম ইফতারির জন্য মামা হালিম কিনলাম।

দীন মোহাম্মদ মনু বলেন, ‘শীত, বর্ষা ও গরমের তাপমাত্রা অনুযায়ী আমরা হালিম বানাই। সময়ভেদে মসলার অনুপাত কমবেশি রাখতে হয়। যাতে মানুষের শরীরের কোনো প্রভাব না পড়ে। তাই হয়তোবা আমার হালিম অনেকেই পছন্দ করেন বলে জানান তিনি।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ইফতার,হালিম,সুস্বাদু,মামা হালিম
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist