ভ্রমণ
স্মৃতি বিজড়িত বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ
স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, জাতির পিতা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কারণেই বিশেষায়িত গোপলগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ অবস্থিত। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ছুটে যান সেখানে। কবর জিয়ারতের পাশাপাশি মনোরম দৃশ্যও ভালো লাগে ভ্রমণপিপাসুদের।
অবস্থান : গোপালগঞ্জ শহর থেকে ৩০-৩৫ মিনিটের পথ টুঙ্গিপাড়া। বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান এই টুঙ্গিপাড়া গ্রামের শেখ বাড়ি। ১৯৭৫ সালে দেশদ্রোহী ঘাতকদের হাতে সপরিবারে নিহত হওয়ার পর শুধু তাঁকে দাফন করা হয় এখানে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধুর করব ঘিরেই গড়ে ওঠে সমাধিসৌধ।
সমাধিসৌধ : বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধে ঢুকতে কোনো প্রবেশমূল্য দিতে হয় না। সমাধিসৌধের প্রদর্শনী গ্যালারি ঘুরে দেখতে পাবেন বঙ্গবন্ধুর জীবনের বিভিন্ন সময়ের ছবি। রয়েছে একটি পাঠাগারও। পাঠাগারের পাশেই দর্শক গ্যালারিসহ একটি উন্মুক্ত মঞ্চ রয়েছে। সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করা যায়। গ্যালারি থেকে কিছু দূরে বঙ্গবন্ধুর কবর। চমৎকার স্থাপত্য দিয়ে কবরটিকে আবৃত করে রাখা হয়েছে। কবরের কাছে সবার যাওয়ার অনুমতি থাকলেও ছবি তোলা নিষেধ।
কোথায় থাকবেন : গোপালগঞ্জে থাকার জন্য সার্কিট হাউজ, জেলা পরিষদ কটেজ, বিভিন্ন হোটেল ও রেস্ট হাউজ রয়েছে। এছাড় একদিনেই ঘুড়ে ফিরে আসতে পারেন।
কী কী খাবেন : টুঙ্গিপাড়ায় খাওয়ার জন্য বেশকিছু হোটেল ও রেস্টুরেন্ট পাবেন। এখানে গ্রামীণ পরিবেশে সস্তা এবং স্বাস্থ্যকর খাবার পাওয়া যাবে।
কিভাবে যাবেন : দেশের যে কোনো জায়গা থেকে প্রথমে গোপালগঞ্জ যেতে হবে। গোপালগঞ্জ থেকে আধা ঘণ্টার মধ্যে টুঙ্গিপাড়ায় যাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী বাসস্ট্যান্ডে নামতে হবে। শেষে পাটগাতী থেকে ব্যাটারিচালিত বাহনে সমাধিসৌধে পৌঁছতে পারবেন।
তাই যে কোন সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ দেখতে ও যিয়ারত করতে ঘুরে আসতে পারেন জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত গোপলগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া।
পিডিএসও/তাজ