মাজারের টাকা লুট : চাকরিচ্যুত র্যাব অধিনায়কের বিচার শুরু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার তালসরা দরবার শরীফের দানবাক্সের দুই কোটি সাত হাজার টাকা লুটের ঘটনায় র্যাব-৭ এর তৎকালীন অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল (চাকরিচ্যুত) জুলফিকার আলী মজুমদারসহ চার র্যাব কর্মকর্তা ও তিন সোর্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম পঞ্চম অতিরিক্ত দায়রা জজ নুরে আলমের আদালত এ অভিযোগ গঠন করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ এনাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এ মামলায় বিচার শুরু হলো।
অভিযুক্তরা হলেন- র্যাব-৭ এর তৎকালীন অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল (চাকরিচ্যুত) জুলফিকার আলী মজুমদার, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট (চাকরিচ্যুত) শেখ মাহমুদুল হাসান, র্যাব-৭ এর সাবেক ডিএডি আবুল বাশার, এসআই তরুণ কুমার বসু এবং র্যাবের তিন সোর্স- দিদারুল আলম ওরফে দিদার, আনোয়ার মিয়া ও মানব বড়ুয়া।
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১৩ মার্চ দরবারের পীরের গাড়ি চালক মো. ইদ্রিস বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় র্যাবের ১২ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার ঘটনায় ওই সময় দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। তালসরা দরবার শরীফে পরিচালিত ওই অভিযানে মিয়ানমারের পাঁচ নাগরিককে আটক করা হয়। বিচারের জন্য তাদের হস্তান্তর করা হয় আনোয়ারা থানায়। কিন্তু অভিযানে সেখান থেকে টাকা সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে উল্লেখ করেনি র্যাব।
পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে র্যাব সদর দফতর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে লে. কর্নেল জুলফিকার ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদুল হাসানকে সেনাবাহিনী ও বিমানবাহিনীতে ফিরিয়ে নেয়া হয়। পরে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। মামলার সব আসামিই বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
পিডিএসও/রিহাব