ঘুষের মামলা
শিক্ষক শ্যামল কান্তি কারাগারে
নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানান অভিযোগ তুলে কান ধরে উঠ-বস করানোর ঘটনায় সংবাদ শিরোনাম হওয়া এই শিক্ষককে একটি ঘুষের মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলাটি দায়ের করেছিল পুলিশ। ওই মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আজ বুধবার নারাণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অশোক কুমার দত্ত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এর আগে একই মামলায় আজ সকালে শ্যামলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন তিনি। এরপর বিকালে এই শিক্ষক আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বলে জানিয়েছেন শ্যামলের আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন খান। অবশ্য ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আসা শ্যামল কান্তি ভক্ত এদিন আদালতে সাংবাদিকদের বলেন, তাকে চাপে রাখতে ‘প্রভাবশালী এক ব্যক্তির নির্দেশে ষড়যন্তমূলকভাবে’ ওই মামলা করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার কল্যাণদীতে পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে গত বছরের ১৩ মে তারই স্কুলে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে শারীরিক নির্যাতন ও কান ধরে উঠ-বস করানোর ঘটনা ঘটে স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে। ওই ঘটনায় সারাদেশে তোলপাড় সৃষ্টি হলে সাংসদ সেলিম ওসমান সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, শিক্ষককে নয়, নাস্তিককে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এরপর ২৭ জুলাই ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, শিক্ষার্থীকে মারধর ও শিক্ষক মোর্শেদাকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে শ্যামল কান্তির বিরুদ্ধে ৩টি মামলার আবেদন নারায়ণগঞ্জের আদালতে জমা পড়ে। ওই মামলার ভিত্তিতেই তাকে কারাগারে পাঠানো হলো।
পিডিএসও/মুস্তাফিজ