চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

টাকা আত্মসাতে চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন কারাগারে

বাড়তি দামে যন্ত্রপাতি কিনে ৯ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চট্টগ্রামের সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সরফরাজ খান চৌধুরী বাবুলকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

বুধবার তিনি চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান এ আদেশ দেন বলে দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক মাহমুদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষে বুধবার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন ডা. সরফরাজ। শুনানি শেষে বিচারক আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।

গত ২৫ নভেম্বর দুদকের চট্টগ্রাম এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সিরাজুল হক বাদী হয়ে ডা. সরফরাজসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বাজার দরের চেয়ে বেশি দামে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের জন্য যন্ত্রপাতি কিনে ৯ কোটি ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৪২৫ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

আসামিদের মধ্যে ওই হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরফরাজ ছাড়াও সিনিয়র কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. মো. আবদুর রব, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (অর্থোপেডিক সার্জারি) ডা. মো. মইন উদ্দিন মজুমদার ও সিনিয়র কনসালট্যান্ট (সার্জারি) ডা. বিজন কুমার নাথও রয়েছেন।

বাকি আসামিরা হলো, যন্ত্রপাতি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বেঙ্গল সায়েন্টিফিক অ্যান্ড সার্জিক্যাল কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মো. জাহের উদ্দিন সরকার, মেসার্স আহম্মদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মুন্সী ফারুক হোসেন এবং এএসএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আফতাব আহমেদ। ২০১৫ সালে এসব যন্ত্রপাতি কেনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশি দাম দেখানো হয়েছে অভিযোগ পেয়ে দুদক অনুসন্ধানে নামে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে যন্ত্রপাতির বাজার দর নিরূপণ করা হয়।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
দুদক,চট্টগ্রাম,সিভিল সার্জন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close