মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আদালতে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।

রায়ে মূল হোতা অধ্যক্ষ সিরাজসহ ১৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বৃস্পতিবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আপিলের জন্য এক সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার পর আসামি পক্ষের আইনজীবী গিয়াস উদ্দীন নান্নু গণমাধ্যমকে বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে তারা হাইকোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করবেন।

মোট ৮০৮ পৃষ্ঠার রায়ে বলা হয়, নারীর প্রতি সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনায় ১৬ আসামির অংশগ্রহণ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়।

ঘটনার মাত্র সাড়ে ছয় মাসের মধ্যে এবং মাত্র ৬১ কার্যদিবসে বিচারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।

গত ২০ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ২৭ জুন থেকে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। মামলার ৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮৭ জন সাক্ষ্য দেন। বাকি চারজনের মধ্যে একজন বিদেশে থাকায় এবং তিনজনের সাক্ষ্য অন্য সাক্ষীদের সঙ্গে পুরোপুরি মিলে যাওয়ায় তাদের সাক্ষ্যগ্রহণের প্রয়োজন হয়নি।

এর আগে গত ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে তার মায়ের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে।

গত ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসাকেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে নুসরাতকে মাদরাসার প্রশাসনিক ভবন কাম সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে ডেকে নিয়ে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এরপর ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে।

পিডিএসও/তাজ