আদালত প্রতিবেদক

  ০৭ অক্টোবর, ২০১৯

ফের রিমান্ডে খালেদ

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে বহিষ্কার হওয়া খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে আবারো সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মতিঝিল ও গুলশান থানার মানি লন্ডারিং ও মাদক মামলায় সোমবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সোমবার ১০ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এদিন গুলশান থানার মানি লন্ডারিং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আরো ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরি চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

একই সাথে মতিঝিল থানার মাদক মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ সাত দিনের রিমান্ড দেয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়া ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে ২৭ সেপ্টম্বর সাতদিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে র‌্যাব। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-৩ এর এএসপি বেলায়েত হোসেন গুলশান থানার অস্ত্র ও মাদক মামলায় সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম দিদারুল আলম অস্ত্র মামলায় ৫ দিন ও মাদক মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তারও আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় দায়ের করা অস্ত্র ও মাদকের পৃথক দুই মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে নেয়া হয় যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। সেদিন তাকে অস্ত্র মামলায় চারদিন এবং মাদক মামলায় তার তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান-২ এর নিজ বাসা থেকে খালেদকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দুই থানায় চারটি মামলা দায়ের করা হয়।

গ্রেফতারের সময় খালেদের বাসা থেকে ৪০০ পিস ইয়াবা, লকার থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার বেশ কয়েকটি বান্ডিল উদ্ধার করা হয়। সেগুলো গণনার পর ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা পাওয়া যায়। এছাড়া ডলারেরও বান্ডিল পাওয়া যায়। টাকায় তা ৫-৬ লাখ টাকা হবে বলে জানায় র‌্যাব। অভিযানে তার কাছ থেকে মোট তিনটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। যার মধ্যে একটি লাইসেন্সবিহীন, অপর দুটি লাইসেন্স থাকলেও তার শর্ত মানেনি খালেদ।

পিডিএসও/রি.মা

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া,রিমান্ড,ক্যাসিনো
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close