টাঙ্গাইলের চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ মন্টি ঘোষ হত্যা মামলায় স্বামী রনি ঘোষকে মৃত্যুদণ্ড ও একলাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডি রনি ঘোষ টাঙ্গাইল শহরের সাহা পাড়ার রবি ঘোষের ছেলে। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুইজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের পিপি একেএম নাছিমুল আক্তার নাছিম জানান, মামলা চলাকালে দণ্ডিত স্বামী রনি ঘোষ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন। পরে সাজা হওয়ার ভয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।

গৃহবধূ মন্টি ঘোষ হত্যা মামলায় স্বামী রনি ঘোষকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেয়া হয়েছে। তবে এ মামলায় গৃহবধূ মন্টি ঘোষের শ্বশুর রবি ঘোষ ও জা পূর্ণিমা ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন প্রবীণ আইনজীবী মো. আরফান আলী মোল্লা।

প্রসঙ্গত, গাজীপুর জেলার নীলনগর গ্রামের চিনি ঘোষের মেয়ে মন্টি ঘোষের সাথে টাঙ্গাইল শহরের সাহা পাড়ার রবি ঘোষের ছেলে রনি ঘোষের হিন্দুরীতি অনুযায়ী ২০১৩ সালের ৩০ জুন বিয়ে হয়। বিয়ের মাত্র আড়াই মাসের মাথায় ১০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে টাঙ্গাইল শহরের সাহা পাড়ার স্বামী রনি ঘোষসহ পরিবারের অন্যরা গৃহবধূ মনটি ঘোষকে গলাটিপে হত্যা করে।

এ বিষয়ে ১৫ সেপ্টেম্বর নিহতের মা চিনি ঘোষ বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে টাঙ্গাইল মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ স্বামী রনি ঘোষ, শ্বশুর রবি ঘোষ ও পূর্ণিমা ঘোষকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করে।

পিডিএসও/তাজ