reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৭ আগস্ট, ২০১৯

হেফাজতে ধর্ষণ : খুলনার সেই ওসি-এসআই প্রত্যাহার

খুলনার জিআরপি (রেলওয়ে) থানায় তিন সন্তানের মাকে (৩০) গণধর্ষণের ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উছমান গণি পাঠান ও এসআই নাজমুল হককে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে বুধবার সকালে তাদের খুলনা জিআরপি থানা থেকে পাকশী জেলা রেলওয়ে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।

তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ তাদের প্রত্যাহার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকে তদন্ত কমিটির সদস্যরা খুলনা জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উছমান গণি পাঠানসহ ৫ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে একজন নারীর তোলা ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেন। পুলিশের সুনাম ক্ষুণ্ন হওয়া এবং অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা ও গাফিলতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। এছাড়া ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে তাদের ক্লোজ করা হয়েছে। বাকি তিন পুলিশ সদস্যের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে, তদন্ত কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত ধর্ষণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।

উল্লেখ্য, গত ২ আগস্ট যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা ওই গৃহধূকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে আটক করে। পরে গভীর রাতে জিআরপি থানার ওসি উছমান গনি পাঠান ও এসআই গৌতম কুমার পালসহ ৫ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন শনিবার তাকে ৫ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় প্রেরণ করা হয়। ৪ আগস্ট আদালতে জামিন শুনানিকালে জিআরপি থানায় গণধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন তিনি। এরপর আদালতের নিদের্শে সোমবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।

এ ঘটনায় পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান হলেন কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদ।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
হেফাজতে ধর্ষণ,খুলনা,গণধর্ষণ
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close