খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে খালেদার দণ্ড স্থগিত ও জামিন আবেদনও করা হয়েছে।
আজ সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এ আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী জয়নুল আবেদীন তুহিন।
এ বিষয়ে খালেদার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল সাংবাদিকদের জানান, একটি মিথ্যা, বানোয়ট, ভূয়া মামলার রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল। বিচারিক আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। ভেবেছিলাম এখানে প্রতিকার পাবেন।
“কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে হাইকোর্টে এ মামলার শুনানির জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়। পাক-ভারত উপমহাদেশে এটা নজিরবিহীন ঘটনা। তাছাড়া আমরা আমাদের আপিল শুনানি শেষ না করার আগেই রায়ের দিন ঘোষণা করা হয়েচে। দুদকের সাজা বাড়ানোর আবেদনেও আমরা শুনানি কমপ্লিট করতে পারিনি। সে অবস্থায়ই রায় ঘোষণা করা হলো।’
এর আগে গত ৩০ অক্টোবর বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতে দেওয়া ৫ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে রায় ঘোষণা করেন।
অন্যদিকে গতকাল রোববার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া ৭ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেছেন খালেদা জিয়া।
প্রসঙ্গত, জিয়া অপরফানেজ ট্রাস্টের নামে বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা এই মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। ওই রায়ের পর থেকেই কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।
পিডিএসও/তাজ