reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ০৬ নভেম্বর, ২০১৮

জরুরি অবস্থায় আদায়কৃত অর্থ ফেরতের আদেশ স্থগিত

রিভিউ শুনবে আপিল বিভাগ

দেশে ২০০৭ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে আদায় করা টাকা ফেরতের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ১১টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে ৬১৫ কোটি ফেরত দিতে আড়াই বছর আগে যে নির্দেশনা সর্বোচ্চ আদালত দিয়েছিল, রিভিউ আবেদনের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তা স্থগিত করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নেতৃত্বাধীন ৭ বিচারকের আপিল বিভাগ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করে এই আদেশ দেয়।

ব্যবসায়ীদের পক্ষের অন্যতম আইনজীবী খায়রুল আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জরুরি অবস্থার সময় আদায় করা ৬১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ফেরত দিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংক হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেও ২০১৬ সালের ১৬ মার্চ আপিল বিভাগ তা খারিজ করে রায় দেন।

কিন্তু দীর্ঘদিনেও ওই টাকা ফেরত না দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট ১১টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করে।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ফখরুদ্দীন আহমদের সরকার দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে দুর্নীতি দমন অভিযানের কথা বলে গ্রেফতার করা হয় দেশের শীর্ষ রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের। ওই সময়ই প্রায় ৪০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়।

২০১০ সালে জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, তত্ত্বাবধায়ক আমলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল প্রায় ১ হাজার ২৩২ কোটি টাকা, যা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রয়েছে। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, জরুরি অবস্থার সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই তার এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছিল এবং তখন তা দেখেও নীরব ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
জরুরি অবস্থা,অর্থ ফেরত,আদেশ স্থগিত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close