জিয়া চ্যারিটেবল মামলা
খালেদার ৭ বছরের কারাদণ্ড
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়াও তাদেরকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এ মামলার রায় ঘোষণা করে।
এই মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। তবে তা নির্ভর করছিল আপিল বিভাগের সিদ্ধান্তের ওপর। কারাবন্দি আসামির অনুপস্থিতিতে চ্যারিটেবল মামলার বিচার চলবে—আদালতের এমন আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেছিলেন খালেদা জিয়া। শুনানি নিয়ে ওই আপিলের ওপর আজ আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ।
এর আগে এ প্রসঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, যদি খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে কোনো রকম লিভ দেওয়া হয়, তাহলে বিচারিক আদালত কর্তৃক চ্যারিটেবল মামলার রায় প্রদান অনিশ্চিত হয়ে যাবে। আর যদি আবেদনটি খারিজ হয়ে যায় তবে সোমবার রায় দেওয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, এই মামলায় খালেদা জিয়া বারবার সময় নিয়েছেন। এক পর্যায়ে আদালতে আসবেন না বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানান। এ অবস্থায় আদালত তো বসে থাকতে পারে না। আদালতকে তো বিচার কার্যক্রমটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেই হিসেবে আমি আশাবাদী বিচারিক আদালত মামলাটির বিচার শেষ করতে পারবে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, খালেদা জিয়া যদি আদালতে যেতে না চান তাহলে তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষিত হবে। এছাড়া তো আর কোনো পথ নেই।
গত ১৬ অক্টোবর পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান চ্যারিটেবল মামলার রায় ঘোষণার জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করে দেন।
পিডিএসও/হেলাল