মেহেরপুরে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় ৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করা হয়েছে।

মামলার অন্য আরেকটি ধারায় প্রত্যেককে যাবজ্জীন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মেহেরপুর সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আলমগীর হোসেন, রামনগর গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে মামুন হোসেন ও একই গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছেলে ওয়াসিম আলী।

মামলার আরও দুই আসামিকে ৩ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন- কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের খাইবর হোসেনের ছেলে কাবুল ইসলাম এবং দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি গ্রামের সাত্তার আলীর ছেলে ফিরোজ আলী।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর শহরের হোটেলবাজার এলাকার আব্দুল জলিল খানের ছেলে এনায়েত হোসেন খান খোকন ইজিবাইক চালাতেন। ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাতে আর বাড়িতে ফেরেননি। পরদিন সকালে সদর উপজেলার টেংরামারি গ্রামে পাকুড়তলা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে ইজিবাইকটি পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরদিন নিহতের স্ত্রী রোকেয়া আক্তার রুমা সদর থানায় একটি হত্যা ও ছিনতাই মামলা দায়ের করেন।

মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে আদালতে মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন সদর থানার এস আই রফিকুল ইসলাম। আসামিরা ইজিবাইক চালক খোকনকে হত্যা করে ইজিবাইকটি ছিনতাই করে পালিয়ে যায় বলে তদন্তে উল্লেখ করা হয়।

মামলায় কোনও আসামি বা সাক্ষীর নাম না থাকলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে আসামিদের সনাক্ত করেন। সেই সূত্রে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি গ্রামের ফিরোজ আলীকে গ্রেফতার করেন। পরে তার দেওয়া স্বীকারোক্তী মোতাবেক অন্য আসামিদেরকেও আটক করেন। আসামিরা তাদের দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দী দেন। পরবর্তিতে ওই মামলায় আদালতে ১৭ জন সাক্ষ্য প্রদান করেন। মামলার নথি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য পর্যালোচনা করে বিচারক এ আদেশ দেন।

পিডিএসও/অপূর্ব