প্রেমের ফাঁদের ফেলে অপহরণপূর্বক গণধর্ষণের দায়ে ৭ জনের যাবজ্জীবন ও ১ জনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মো: মশিউর রহমান জনাকীর্ণ আদালতে এই রায় প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তর হলেন, কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার উত্তরপার সাওতা গ্রামের মৃত মঙ্গল সেখ এর ছেলে মো: সাহেব আলী শিহাব, কোরবান আলীর ছেলে জমির সেখ, উকিল উদ্দিন সেখের ছেলে মসলেম সেখ, তালেব আলী সেখের ছেলে আরিফ সেখ, ওসমান সেখের ছেলে মুক্তার সেখ, মোকাদ্দেস খোকন, হোসেন সেখের ছেলে ময়েন উদ্দিন, মোবারক সেখের ছেলে মিন্টু সেখ। এছাড়া উপজেলার কেসবপুর গ্রামের নাজির উদ্দিন সেখের ছেলে আরিফ সেখ শরীফ কলা আলীকে ১৪বছরের সশ্রম কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকার জরিমানার আদেশ দেন আদালত।

কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের সরকারী কৌশুলী আকরাম হোসেন দুলাল জানান, কুষ্টিয়া সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রীকে গণধর্ষণ মামলার তদন্ত শেষে চার্জশিট দাখিল করেন কুমারখালী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আদালত দীর্ঘ স্বাক্ষী শুনানি শেষে আজ রায় ঘোষণার নির্ধারিত দিনে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় সকল আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। এছাড়া এজাহারভুক্ত অপর আসামি একই এলাকার শামসুল সেখ পিং পটল সেখের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টায় প্রেমের সম্পর্কসূত্রে কুষ্টিয়া মহিলা কলেজের এক ছাত্রীকে কুমারখালী উপজেলার কেসবাপুর গ্রামের নাজির উদ্দিন সেখের ছেলে আরিফ সেখ ডেকে নিয়ে যায়। আসামি আরিফ ওই ছাত্রীটিকে তার অপর বন্ধু উপজেলার মোবারক সেখের ছেলে মিন্টুর বাড়িতে নিয়ে যায়। ঘটনার দিন একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে আসামির যোগসাজসে মিন্টুর বাড়ি থেকে অপরহণ করে পার্শ্ববর্তী কলা বাগানে নিয়ে গিয়ে রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ চালিয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

পরদিন ১ অক্টোবর গুরুতর আহত ওই ছাত্রী হাসপাতালে ভর্তি হন এবং একই দিনে কুমারখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০র ৯(৩)/৩০ মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর এক আত্মীয় বাদি হয়ে ৯ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

পিডিএসও/তাজ