খালেদার অনুপস্থিতিতে বিচার কি না, সিদ্ধান্ত বৃহস্পতিবার
আদালতে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচার কার্যক্রম চলবে কিনা সে বিষয়ে বৃহস্পতিবার আদেশ দেওয়া হবে।
বুধবার এ আদেশ দেন কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম এবং অ্যাডভোকেট আখতারুজ্জামান। অপরদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মোশাররফ হোসেন কাজল।
এদিকে এ মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে একটি জামিন আবেদন করেছেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া। সেই আবেদনের ওপর আগামীকাল আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার আদালত পরিবর্তন করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়াকে নতুন আদালতে হাজির করা হয়। কিন্তু সেদিন কোনো আইনজীবী খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে শুনানি করেননি।
ওই দিন বিচারক মামলার কার্যক্রম শুরু করলে তার উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বলেন, ‘আমি খুবই অসুস্থ। আমি আর আদালতে আসতে পারব না। আপনারা যা চান যত দিন চান, সাজা দিতে পারেন। ন্যায় বিচার এখানে পাইনি, পাব না।’
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেন বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। সেদিন থেকে পুরান ঢাকার কেন্ত্রীয় কারাগারে রয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন।
২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
মামলাটিতে বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী, তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকে আসামি করা হয়।
মামলাটিতে খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তৎকালীন বিচারক বাসুদেব রায় অভিযোগ গঠন করেন।
পিডিএসও/রিহাব