মানহানি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন নামঞ্জুর
স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে নড়াইলের আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নামে দায়ের করা মানহানি মামলায় জামিন নামঞ্জুর করেছেন নড়াইলের আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে নড়াইল সদর আমলি আদালতের বিচারক জাহিদুল আজাদ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২ জুলাই একই আদালত ১৭ জুলাই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। গত ৫ জুন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে শুনানি হলেও জামিন আবেদন নামঞ্জুর করা হয়।
২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর জেলার নড়াগাতি থানার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নামে নড়াইল সদর আদালতে মানহানি মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। নির্ধারিত সময় খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। এর আগে ওই বছরের ২৫ জুলাই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন একই আদালত।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের সংখ্যা নিয়ে বির্তক রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, 'তিনি স্বাধীনতা চাননি, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন।'
খালেদা জিয়ার ওই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। মামলার বাদী নড়াইলের চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে বসে এ খবরটি পড়ে মারাত্মক ক্ষুব্ধ হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
পিডিএসও/রিহাব