বেসিক ব্যাংক দুর্নীতি মামলার সব তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব
রাষ্ট্রায়াত্ত বেসিক ব্যাংকের সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি দুর্নীতি মামলার সব তদন্ত কর্মকর্তাদের তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ৩০ মে দুর্নীতি মামলার তদন্তের সব নথি নিয়ে তাদেরকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি সাংবাদিকেদের জানান, আইন অনুযায়ী ১৮০ দিনের মধ্যে এসব মামলার তদন্ত শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু প্রায় আড়াই বছর হয়ে গেছে। এখনো তদন্ত শেষ হয়নি। এর কারণ ব্যাখ্যার জন্য তাদেরকে হাইকোর্টে তলব করা হয়েছে।
বিশেষ করে আদালত বেসিক ব্যাংকের ৫৬ মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনসহ সব মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানান এই আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়াত্ত বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণের অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া ঋণপত্র যাচাই না করে জামানত ছাড়া, জাল দলিলে ভুয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দানসহ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বিধি বহির্ভূতভাবে ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ ওঠে ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে।
এসব বিষয় নিয়ে তদন্তে নামে দুদক। পরে প্রায় চার বছর অনুসন্ধান শেষে ২০১৫ সালের ২১-২৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান, পল্টন ও মতিঝিল থানায় ১৫৬ জনকে আসামি ৫৬টি মামলা করে দুদক। ১৫৬ জন আসামির মধ্যে বেসিক ব্যাংকের কর্মকর্তা ২৬ জন। বাকি ১৩০ জন আসামি ঋণগ্রহীতা ৫৪ প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী ও সার্ভে প্রতিষ্ঠানের। এর মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে ৪৮টি, ডিএমডি ফজলুস সোবহানকে ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থকে ২৩টি এবং ডিএমডি এ মোনায়েম খানকে ৩৫টি মামলায় আসামি করে দুদক। পরবর্তীতে আরও মামলা হয়।
পিডিএসও/তাজ