‘ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা হতে পারে ’
ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে পুলিশের অনুসন্ধান কাজে অসহযোগিতার অভিযোগে নন সাবমিশন মামলা হতে পারে। সোমবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব ড. মো. শামসুল আরেফিন। রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নিজের অফিস কক্ষে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা বলেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব আরো বলেন, অনুসন্ধানের স্বার্থে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চেয়ে ডিআইজি মিজানুরের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছিল। তাকে গত রোববার ওইসব নথিপত্র জমা দেওয়ার কথা বলা হলেও তিনি যথাসময়ে তা জমা দেননি। ধারাবাহিকভাবে অনুসন্ধান কাজে আরো অসহযোগিতা করা হলে দুদক আইনের ১৯(৩) ধারায় তার বিরুদ্ধে নন সাবমিশন মামলা করা হতে পারে।
তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রায় শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করছেন দুদক উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। এই অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল তাকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে টানা সাড়ে ৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ওইদিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের মিজানুর রহমান বলেছিলেন, ট্যাপ ফাইলের (আয়কর রিটার্ন) বাইরে তার নামে কোনো সম্পদ নেই।
দুদক জানায়, পুলিশের উচ্চ পদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় শত কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগটির অনুসন্ধান শুরু হয় গত ৪ জানুয়ারি থেকে। দুদক পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী এই অনুসন্ধান কার্যক্রম তদারকি করছেন।
পিডিএসও/তাজ