প্রধান বিচারপতি নিয়োগে রিটের শুনানি পেছালো
প্রধান বিচারপতি পদে নিয়োগসংক্রান্ত রিটের শুনানির জন্য আগামী ২৮ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে সময় আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। গত ১৮ জানুয়ারি এই রিট আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ গত ৩ জানুয়ারি রিট আবেদন করেন।
রিট আবেদনে প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য থাকা এবং নিয়োগ না দেয়া কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনজীবী থেকে প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতি নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এ সম্পর্কে রুল দেয়ার দাবি করা হয়েছে।
বিচারপতি নিয়োগসংক্রান্ত সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, (১) প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন এবং প্রধান বিচারপতির সহিত পরামর্শ করিয়া রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগদান করিবেন। (২) কোন ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক না হইলে এবং (ক) সুপ্রিমকোর্টে অন্যূন দশ বৎসরকাল অ্যাডভোকেট না থাকিয়া থাকিলে; অথবা (খ) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে অন্যূন দশ বৎসর কোনো বিচার বিভাগীয় পদে অধিষ্ঠান না করিয়া থাকিলে; অথবা (গ) সুপ্রিমকোর্টের বিচারক পদে নিয়োগ লাভের জন্য আইনের দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা না থাকিয়া থাকিলে তিনি বিচারকপদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হইবেন না।
ই্উনুছ আলী আকন্দ বলেন, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনজীবী থেকে কখনও সরাসরি আপিল বিভাগে বিচারপতি এবং প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়নি। এটি সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১ এবং ৪০ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন এবং আইনজীবীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যিনি প্রধান বিচারপতি হন তিনি চারবার শপথ নেন। অতিরিক্ত বিচারপতি, দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি, আপিল বিভাগে বিচারপতি এবং সবশেষ প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।
পিডিএসও/হেলাল