যুদ্ধাপরাধ : ২ জনের ফাঁসি, ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
একাত্তরে মৌলভীবাজারে গণহত্যার দায়ে তখনকার রাজাকার বাহিনীর দুজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আরও তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এদের মধ্যে কারাবন্দি ইউনুছ আহমেদ ও উজের আহমেদ চৌধুরীর সর্বোচ্চ সাজার রায় দিয়েছে আদালত। আর পলাতক সামছুল হোসেন তরফদার ওরফে আশরাফ, মো. নেছার আলী ও মোবারক মিয়াকে দেয়া হয়েছে আমৃত্যু কারাদণ্ড।
বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করে। রায়ে বলা হয়, প্রসিকিউশনের আনা পাঁচ অভিযোগের সবগুলোই প্রমাণিত হয়েছে। মৃত্যুদণ্ডের দুই আসামির সাজা ফাঁসিতে ঝুলিয়ে কার্যকর করতে হবে।
সেইসঙ্গে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে সাজা কার্যকর করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে। নিয়ম অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের মামলায় রায়ের এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করা যায়। তবে পলাতক আসামিদের সে সুযোগ নিতে হলে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর এ মামলার পাঁচ আসামির বিচার শুরু করে আদালত। ট্রাইব্যুনালে এ পর্যন্ত রায় আসা ৩০টি মামলার ৬৭ আসামির মধ্যে তিনজন বিচারাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মোট ৬৪ জনের সাজা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৩৮ যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ সাজার রায় এসেছে।
আজ বেলা সাড়ে ১০টার আদালত বসার পর মৌলভীবাজারের পাঁচ আসামির রায়ের কার্যক্রম শুরু হয়। গ্রেপ্তার দুই আসামিকে তার আগেই কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। তিন সদস্যের এ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম প্রারম্ভিক বক্তব্যে জানান, এ মামলায় তারা যে রায় দিচ্ছেন, তা ২০২ পৃষ্ঠার। পরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার রায়ের সার সংক্ষেপের প্রথম অংশ পড়া শুরু করেন। বিচারপতি আমির হোসেন পড়েন রায়ের দ্বিতীয় অংশ। সবশেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান সাজা ঘোষণা করেন। রায়ের পর আসামি ইউনুছ আহমেদ ও উজের আহমেদ চৌধুরীকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
পিডিএসও/হেলাল