ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল থামছে না!
সাতদিন পার হলেও ক্যালিফোর্নিয়ার দাবানল থামেনি। দিন দিন বেড়েই চলছে। বাড়িঘরসহ প্রায় ৮শ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। একইভাবে পুড়ছে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটছেন বাসিন্দারা। রাজ্যের গভর্নর বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই দাবানলের সৃষ্টি হয়েছে।
দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার ছটি দাবানলের মধ্যে সবচেয়ে বড় টমাস ফায়ার। গত সোমবার থেকে এখনো পর্যন্ত ভেঞ্চুরাসংলগ্ন সোয়া লাখ একর জঙ্গল গ্রাস করেছে টমাস ফায়ার। এই দাবানল দমনেই নিয়োজিত ৪ হাজার দমকলকর্মী। তারা জানান, সান্টা আনা থেকে আসা শুষ্ক ও শক্তিশালী বাতাসের জেরে ক্রমশ বাড়ছে দাবানলের তীব্রতা। শনিবার বাতাসের তীব্রতা কিছুটা কমলেও রোববার আবার বাড়তে থাকে। এক দমকল কর্মী জানান, দাবানল এখনো নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, আগুন দ্রুত ছড়াচ্ছে।
নতুন নতুন এলাকায় দাবানলের খবর আসছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত টমাস ফায়ারে ৭৫টি বাড়ি পুড়ে গেছে। জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে ভেঞ্চুরা ও সান্টা পাওলা কাউন্টিতে। এলাকার সাড়ে সাত হাজার বাড়ি খালি করে দিতে বলা হয়েছে। এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার মানুষকে নিরাপদে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। চেষ্টা সত্ত্বেও দাবানল নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ভেঞ্চুরা কাউন্টির দমকল প্রধান মার্ক লরেনজেন।
হেলিকপ্টার দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চললেও রাতের দিকে পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় হেলিকপ্টার ফিরিয়ে আনা হয়। বৃহস্পতিবার রাত থেকে লাইল্যাক ফায়ার নামে নতুন একটি দাবানল শুরু হয়েছে সান দিয়েগোতে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ৪ হাজার ১শ একর এলাকা ভস্মীভূত হয়ে যায়। ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর জেরি ব্রাউন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেই এই দাবানলের আবির্ভাব। বিজ্ঞানীরা এই তথ্য জানিয়েছেন। তারা বলছেন, দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া জ্বলছে। আমাদের দাবানল নিয়ন্ত্রণে প্রচুর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দরকার।
পিডিএসও/হেলাল