সৌদি ছেড়ে ফ্রান্স গেলেন সাদ হারিরি
পদত্যাগকারী লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি ফ্রান্সের উদ্দেশে শনিবার সৌদি আরব ত্যাগ করেছেন। হারিরিকে সৌদি কর্তৃপক্ষ জিম্মি করে রেখেছে লেবাননে তার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের এমন অভিযোগের পর তিনি ফ্রান্সের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব ছাড়লেন। শুক্রবার গভীর রাতে দেওয়া এক টুইটে তিনি সৌদি বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা জানান। তার সঙ্গে পরিবারের সদস্যরাও ফ্রান্স যাচ্ছে বলে জানিয়েছে। খবর রয়টার্স’র।
এদিকে রিয়াদে তার আকস্মিক পদত্যাগের ঘোষণায় সৃষ্ট রাজনৈতিক সংকট নিরসনের ক্ষেত্রে তার প্যারিস যাত্রাকে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এছাড় লেবাননের প্রধানমন্ত্রী ও তার স্ত্রীর প্যারিসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সাক্ষাত করার কথা রয়েছে।
হারিরি পরিবারের মালিকানাধীন টেলিভিশন চ্যানেল ফিউচার টিভির খবরে বলা হয়, ‘হারিরি তার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে প্যারিসের উত্তর-পূর্ব লি বুজ বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রিয়াদ ত্যাগ করেছেন। তিনি তার ব্যক্তিগত বিমানে করে সৌদি আরব ছাড়েন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রিয়াদে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যাঁ-ভেস লি দ্রিয়ানের হারিরির সঙ্গে সাক্ষাতের পর তিনি সৌদি আরব ছাড়লেন। লেবাননের সাবেক ঔপনিবেশিক শক্তি প্যারিস এ সংকট নিরসনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ নিয়ে আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এ মাসের শুরুতে সৌদি আরব সফরে গিয়ে সেখান থেকে পাঠানো এক টেলিভিশন বার্তায় লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন সাদ। পদত্যাগের কারণ হিসেবে ‘নিজের প্রাণনাশের হুমকির’ কথা জানান, এজন্য ইরান ও তাদের সমর্থিত হিজবুল্লাহকে দোষারোপ করেন তিনি।
তার এই আকস্মিক ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন টানাপোড়েনের জন্ম দেয়। সাদের অভিযোগের প্রত্যুত্তরে ইরান বলে, ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সঙ্গে মিলে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বাড়ানোর ষড়যন্ত্রেই লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের ঘোষণা।
পিডিএসও/তাজ