reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

অবশেষে রাখাইনে কূটনীতিকদের প্রবেশের অনুমতি

সংঘাত কবলিত রাখাইন প্রদেশে আগামী সপ্তাহে কূটনীতিকদের প্রবেশে অনুমতি দিয়েছে মিয়ানমার সরকার। তবে কোন দিন তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি।

শুক্রবার রাতে দেশটির স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি’র কার্যালয়ে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের বৈঠকের পর বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। ২৪ আগস্ট পুলিশ চৌকিতে হামলার পর প্রদেশের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী হামলা চালায়। এতে গ্রামের পর গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হয়। সরকারের পক্ষ থেকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান’ বলা হলেও এটিকে ‘জাতিগত নির্মূলের সর্বোচ্চ উদাহরণ’ হিসেবে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক মহল।

সংঘাতের পর গণমাধ্যম, মানবাধিকার সংস্থা ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা ওই প্রদেশে প্রবেশ করতে চাইলেও নিরাপত্তার অজুহাতে বাধা দেয়া হয়। বিশ্বজুড়ে তোপের মুখে পড়ার পর এবার দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের প্রবেশের অনুমতি দেয়া হলো।

স্টেট কাউন্সিলের কার্যালয় থেকে দেয়া ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, শিগগিরই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফেরত নেয়া শুরু হবে। ১৯৯২ সালের বাংলাদেশর সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী এ প্রক্রিয়া চালানো হবে।

বিবৃতিতে জানানো হয়, যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া হবে। রাখাইন অঞ্চলে সংঘাতের নিরসনের জন্য টেকসই সমাধানও করা হবে। এর পাশাপাশি বাস্তুচ্যুতদের পুনর্বাসন করা হবে। রোহিঙ্গা মুসলমান ছাড়াও রাখাইনের হিন্দু, ম্রো, ডাইন-নেট, মারমাগইদের পুনর্বাসন করা হবে বলেও জানানো হয়।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে গেলো এক মাসের চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। দেশটিতে জাতিগত নিপীড়নের শিকার এই মুসলিম জনগোষ্ঠীর আরো প্রায় চার লাখ সদস্যকে কয়েক দশক ধরে আশ্রয় দিয়ে আসছে বাংলাদেশ।

১৯৬২ সালে নে উইন সরকার মিয়ানমারে ক্ষমতায় আসলে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান শুরু হয়। ১৯৭৮ সালে প্রথম রোহিঙ্গারা দলে দলে বাংলাদেশে আসা শুরু করে। এরপর ১৯৯২ সালে দুই দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, যার মাধ্যমে ওই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। যদিও সে চুক্তি বার বার ভঙ্গ করে আসছে মিয়ানমার। ২০০৫ সালে রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া মিয়ানমার এককভাবে বন্ধ করে দেয়।

২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার অজুহাতে দেশটির সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর ফের নির্যাতন শুরু করলে তারা আসা শুরু করে। গেলো বছর তিনটি পুলিশ চৌকিতে আক্রমণের অজুহাতে রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে নির্যাতন শুরু হয়। এক বছর পরে গেলো ২৪ আগস্ট আবার রাখাইন প্রদেশের ৩০টি পুলিশ চৌকিতে হামলার অজুহাতে নতুন মাত্রায় রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়।

পিডিএসও/রিহাব

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
রাখাইন,কূটনীতিক,প্রবেশ,অনুমতি
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist