প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সৌদি বাদশাহর কাছ থেকে ট্রাম্পের যত উপহার

প্রেসিডেন্ট হিসেবে সৌদি আরবেই প্রথম সফরে গিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্প। সে সময় তিনি স্বর্ণখচিত ও আরব ঐতিহ্যের অনেক উপহার পান। তবে ট্রাম্প চাইলেই তার মনমতো উপহারগুলো নিজের কাছে রাখতে বা শিল্পকর্মগুলো তার অফিস বা বাসার দেয়ালে টাঙাতে পারবেন না। কারণ এগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে গণ্য হয় মার্কিন রীতি অনুযায়ী। বিবিসি গতকাল বুধবার এ খবর জানায়।

১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল গিয়েছিলেন সৌদি আরবে; আর যাওয়ার সময় উপহার হিসেবে সৌদি বাদশাহর জন্য তিনি নিয়েছিলেন একটি পারফিউম, যার মূল্য ছিল ১০০ পাউন্ড। তবে সফরে বাদশাহ যা উপহার দিলেন তাকে তাতে তার চক্ষু চড়কগাছ, কারণ সোনার তৈরি তলোয়ার থেকে শুরু করে ডায়মন্ড রিং ছিল তাতে। এরপর দেশে ফিরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অর্ডার দিলেন; তখন চলা বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে রোলস রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি সৌদি বাদশাহকে পাঠাতে। সেটি কার্যকরও হলো সাত মাস পরেই।

এখনকার যুগেও রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে উপহার বিনিময়ের প্রথা রয়েছে বিশেষ করে রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানদের অন্য দেশ সফরকালে। অতিথি রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানকে উপহার দিয়ে সম্মানিত করা এখন নিয়মিত ঘটনা। এবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম বিদেশ সফর ছিল সৌদি আরব। সফরে তিনও ব্যাপক উপহার পেয়েছেন সৌদি বাদশাহ সালমানের কাছ থেকে। সরকারি কর্মকর্তারা নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামি উপহার নিজের কাছে রাখতে পারেন না। কিন্তু কী ছিল সেই উপহার তালিকায়?

জানা গেছে, বাদশাহর দেওয়া একগাদা উপহারের মধ্যে ছিল বিভিন্ন ধরনের তলোয়ার, ছুরি, চামড়ার তৈরি বুলেট রাখার বেল্ট, হোলসটার্স, সোনার কারুকার্যময় পোশাক, মাথায় ব্যবহারের অনেকগুলো স্কার্ফসহ আরব ঐতিহ্যবাহী গার্মেন্ট, চামড়ার জুতা, পারফিউম ও শিল্পকর্ম।

অ্যারাবিয়া ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আলী শিহাবী বলছেন, উপহারগুলো খুব বেশি বিলাসী নয়। আগে মধ্যপ্রাচ্যের শাসকরা চোখ ধাঁধানো দ্রব্যাদি যেমন দামি ঘড়ি, স্বর্ণালংকার উপহার হিসেবে দিতেন। এখন আসলে স্থানীয় সংস্কৃতি কিংবা হাতে তৈরি ঐতিহ্যম-িত শিল্পকর্ম দেওয়া হয়। তবে সৌদি বাদশাহ শুধু প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেই নয়, তার সফরসঙ্গী সবাইকেই একই ধরনের উপহার দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী বিদেশি সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ৩৯০ ডলারের বেশি মূল্য মানের কোনো উপহার নিজের কাছে রাখতে পারেন না যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কেউ। তবে সরকারি কর্মকর্তারা বাজার মূল্যে সেটি কিনে নিতে পারেন যেমনটি করেছিলেন হিলারি ক্লিনটন ২০১২ সালে। মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির কাছ থেকে উপহার হিসেবে পাওয়া একটি মুক্তার নেকলেস তিনি কিনে নিয়েছিলেন ৯৭০ ডলার দিয়ে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
সৌদি আরব,ডোনাল্ড ট্রাম্প,ট্রাম্পের যত উপহার,সৌদি বাদশাহর উপহার
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist
Error!: SQLSTATE[42S02]: Base table or view not found: 1146 Table 'protidin_sangbad.news_hits_counter_2020_04_07' doesn't exist