আল আকসা সঙ্কট নিরসনে চাপ বাড়ছে
জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে মেটাল ডিটেক্টর বসানো নিয়ে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে টানা সহিংসতার ধারাবাহিকতায় এখন ইসরায়েল কিছুটা সুর নরম করেছে। একজন ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তা বলেছেন, তারা বিকল্প নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেবার কথা বিবেচনা করছেন।
গত শুক্রবার থেকে দুই তরফের মধ্যে সহিংসতায় ৫ জন ফিলিস্তিনি ও তিনজন ইসরায়েলি নিহত হয়। এ নিয়ে ক্ষমতাধর দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ আগামীকাল জরুরি বৈঠক ডেকেছে।
ঘটনার সূত্রপাত্র জেরুজালেমের মুসলিমদের পবিত্র হারাম আল শরীফ বা আল আকসা মসজিদে মেটাল ডিটেক্টর বসানো নিয়ে। ইসরায়েল বলছে, ওই এলাকায় ফিলিস্তিনিদের হামলায় দুজন ইসরায়েলি পুলিশ নিহত হবার পর নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য তারা এই মেটাল ডিটেক্টর বসিয়েছে।
স্থানটি ইহুদিদের কাছেও পবিত্র, তাদের কাছে এটি টেম্পল মাউন্ট। কিন্তু ফিলিস্তিনের নেতা মাহমুদ আব্বাস মনে করেন, নিরাপত্তা টিরাপত্তা কিছু না, এটি স্রেফ ইসরায়েলিদের নিয়ন্ত্রণ আরোপের একটি কৌশল। ফলে তিনি ইসরায়েলের সাথে সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করবার সিদ্ধান্ত নেন।
টেলিভিশনে দেয়া ভাষণে মাহমুদ আব্বাস বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের প্রবেশের বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থা বাতিল করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত সব পর্যায়ে ইসরায়েলিদের সাথে সবরকম যোগাযোগ আমরা বিচ্ছিন্ন করছি।
এই ইলেকট্রনিক গেট বসানো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে যে উত্তেজনা দানা বেঁধেছিল তার চূড়ান্ত রূপ পায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকে। দুই তরফের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছে তিন জন ইসরায়েলি।
পিডিএসও/হেলাল