এবার ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের ডাক মমতার
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায় ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আগামী ৯ আগস্ট থেকে ৩০ আগস্ট তার তৃণমূল কংগ্রেস এই কর্মসূচি পালন করবে বলেও জানান তিনি। আজ শুক্রবার রাজ্যের রাজধানী কলকাতার ধর্মতলায় তৃণমূলের শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত বিশাল জনসমাবেশে এই ঘোষণা দেন মমতা। তিনি বলেন, তৃণমূল সাধারণ মানুষকে শুধু ভয় পায়। নারদা-সারদার ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। নারদা-সারদার ভয় দেখিয়ে লোক ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। নারদায় কেউ দোষী নয়, সম্মানহানি করতে তৃণমূলের একাধিক নেতাকে ডেকে পাঠানো হচ্ছে। বিজেপি গোরাক্ষসের দল। তিনি আরও বলেন, ভারতে আজ অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। বিজেপি আজ দুর্নীতির পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। নজর ঘোরাতে তারা দিকে দিকে দাঙ্গা বাধাচ্ছে। বিজেপির বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে নানাভাবে বিপদে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু মনে রাখবেন ভয় দেখিয়ে তৃণমূলকে আটকে রাখা যায়নি, কোনোদিন যাবেও না।
১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই কলকাতায় ভোটার আইডেন্টিটি কার্ডের মাধ্যমে ভোটের দাবিতে তৎকালীন বামফ্রন্ট পরিচালিত সরকারের মহাকরণে বিক্ষোভ মিছিল করেন মমতা। সে মিছিলে পুলিশের গুলিতে মারা যান ১৩ জন। তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যেই প্রতিবছর কলকাতার ধর্মতলার শহীদ মিনার চত্বরে শহীদ দিবস পালন করে তৃণমূল কংগ্রেস। সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ভারতের মাটিতে তৃণমূল আজ সরব বলে আমাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা চলছে। হাজার রুপির নোট বাতিলের নামে কোটি কোটি টাকা নিয়েছে বিজেপি। দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। বিজেপি শাসনে দিল্লির বুকে আজ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনও নিরাপদ নন।
মমতা বলেন, বাংলার মানুষ আজ শান্তিতে রয়েছেন। এখানে কেউ দাঙ্গা লাগাতে এলে তাদের তাড়া করতে হবে। কোথাও কোনো গুজবে কান দেবেন না। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে কেউ উল্টো-পাল্টা লিখলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে জানাবেন। বাংলার মাটিতে স¤প্রীতির ধারাকে বজায় রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার। তিনি বলেন, কয়েকটি গুন্ডা আজ দেশ চালাচ্ছে। ওদের আজ মনে রাখা উচিত, আমরা ওদের চাকর-বাকর নই। বাংলা থেকে একটা সিটও নিতে দেব না বিজেপিকে। মোদি সরকারের উদ্দেশ্যে মমতা বলেন, অন্য কাউকে ভয় দেখাবেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নয়। ভারতকে কোনোভাবেই টুকরো হতে দেব না। তিনি সবশেষ স্লোগান তোলেন, করেঙ্গে ইয়ে মারেঙ্গে।পিডিএসও/শহীদুল্লাহ/মুস্তাফিজ