এক বছরেই দ্বিতীয় বাজেট আসছে নভেম্বরে
ভারতে বড় পরিবর্তন আনছেন মোদী
এক বছরে দু’বার বাজেট পেশ করতে চলেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী নভেম্বর মাসে ফের বাজেট পেশ করতে পারেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। দেশটির গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে জানা যায়, চলতি বছরে বাজেট এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একের পরে এক পুরনো রীতি বদলে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। নরেন্দ্র মোদী চলতি বছর থেকেই বন্ধ করে দিয়েছেন আলাদা রেল বাজেট। বাজেটও এক মাস এগিয়ে পেশ হয়েছে গত ১ ফেব্রুয়ারি। ফের নভেম্বর মাসে চলতি বছরেই দ্বিতীয় বার বাজেট পেশ করতে পারেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের দাবি, আগামী ২০১৮ সাল থেকেই ক্যালেন্ডার বদল করতে চলেছেন কেন্দ্র। এপ্রিল নয়, জানুয়ারি থেকে শুরু হবে নতুন বছর। আর সেই লক্ষ্যেই আর্থিক বছর শুরুর দু’মাস আগে সাধারণ বাজেট পেশ করতে পারে কেন্দ্র।
এর আগে নীতি আয়োগের বৈঠকেই ক্যালেন্ডার বদলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পিটিআই সরকারি সূত্র উল্লেখ করে জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই সেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র। স্বাধীনতার পরে এক বড় বদল আনতে মরিয়া নরেন্দ্র মোদী সরকার। দীর্ঘ কাঙ্খিত জিএসটি চালু হচ্ছে আগামী ১ জুলাই। ভারতের আর্থিক সংস্কারের ক্ষেত্রে এটি একটি ঐতিহাসিক যাত্রা। এর পরে পরেই নতুন ইতিহাস তৈরির উদ্যোগ নিচ্ছে মোদী সরকার।
এপ্রিল থেকে মার্চ ক্যালেন্ডার এই দেশের ১৫০ বছরের পরম্পরা। এবার সেই চিরাচরিত নিয়মেই বদল আনতে চলেছে সরকার। এর ফলে পৃথিবীর বড় দেশগুলির সঙ্গে ভারতের আর্থিক বছর মিলে যাবে। অর্থনৈতিক দিক থেকেও এটা ভারতের পক্ষে ভাল হবে বলে দাবি কেন্দ্রের। পিটিআই জানিয়েছে, সরকারি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই বাজেট অধিবেশন শুরু হবে সংসদে। ডিসেম্বরের মধ্যেই বাজেট অধিবেশন শুরু করে ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চালু হয়ে যাবে নতুন ক্যালেন্ডার।
দেশের ক্যালেন্ডার বদল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করার পরেই বিশেষজ্ঞদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটি গত ডিসেম্বরে রিপোর্ট জমা দেয়। এর পরে নীতি আয়োগের কর্তা কিশোর দেশাই এবং সদস্য বিবেক দেবরায় নতুন নিয়মে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারত কী কী সুবিধা পাবে তা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করেন। কয়েক মাস আগে সংসদের অর্থ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটিও জানুয়ারি-ডিসেম্বর আর্থিক বর্ষের সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয়।
এই ক্যালেন্ডার বদলের যুক্তি হিসেব প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অনেক ভাল প্রকল্পের সুযোগ সাধারণ মানুষ পাচ্ছেন না সঠিক সময়ে নির্বাচনের অভাবে। নতুন ক্যালেন্ডার সেই সমস্যা দূর করবে। নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সেই ইচ্ছা প্রকাশের পরেই মধ্যপ্রদেশ সরকার প্রথম রাজ্য হিসেবে ঘোষণা করে তারা নতুন ক্যালেন্ডারের জন্য তৈরি।পিডিএসও/মুস্তাফিজ