হত্যাকারি কিলিং মিশন সদস্যের বর্ণনা...
লাদেনকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল
ওসামা বিন লাদেনকে হত্যার বর্ণনা দিয়েছেন ওই কিলিং মিশনের একজন সদস্য। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে এই তথ্য জানানো হয়। খবরে বলা হয়, পুরো বিশ্বে ত্রাসসৃষ্টিকারী জঙ্গিনেতা লাদেনকে ২০১১ সালে গোপন ডেরায় ঢুকে হত্যা করা হয়েছিল। আর এই জঙ্গিনেতাকে হত্যা করার ছক কষেছিল মার্কিন সেনার একটি দল। সেই দলটির একজন অন্যতম প্রধান ছিলেন মার্কিন নেভি ‘সিল’-এর প্রাক্তন নৌ-সেনা রবার্ট ও’নীল। লাদেনকে হত্যা করতে যাওয়ার আগের দিনগুলি কিভাবে কেটেছিল তার সেই বিষয়ই এবার মুখ খুললেন তিনি। তার বই ‘The Operator: Firing the shots that killed Bin Laden’-এ লাদেনকে হত্যা করার বিষয়টি বিশদে ব্যাখ্যা করেন।
রবার্ট ও’নীল জানান, লাদেনকে হত্যা করার মিশনটা খুব একটা সহজ ছিল না। তারা ঠিক করেই নিয়েছিলেন এটি প্রকৃতপক্ষে একটি ‘ওয়ানওয়ে মিশন’ ছিল। অর্থাৎ তারা এই মিশনে যুদ্ধ করে ফিরে আসতে পারবেন কিনা সেই বিষয়ে একেবারেই আশাবাদী ছিলেন না কেউই। এমনকি তিনি তার ছেলে মেয়েদের জন্য তার নিজের জীবনের শেষ উপহার হিসেবে বেশ কিছু জিনিস দিয়ে গিয়েছিলেন। কারণ তিনি জানতেন, এই ভয়ংকর মিশন থেকে ফিরে আসার আর কোনও সম্ভাবনায় নেই। দলের সকলেই মানসিকভাবে প্রস্তুতও ছিলেন।
অবশ্য পরিস্থিতির মোকাবিলায় তিনি এক মুহূর্তের জন্যও ভয় পেয়ে সরে আসেননি। বরং দৃঢ় মনোবল নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন লক্ষ্যে। এমনকি তার বাবার সঙ্গেও এই মিশনে যাওয়ার আগে তার কথা হয়। সেই কথোপকথনে তার বাবা ধরে নিয়েছিলেন যে, তার ছেলে হয়তো আর কোনদিন ফিরে আসবে না। যথেষ্ট ভেঙে পড়েছিলেন সেদিন রবার্টের বাবাও। রবার্ট তার বাবাকে সান্ত¡না দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টাও করেন।
অবশেষে সেই দিনটি আসে। বাছাই করা সেরা কিছু সেনা নিয়ে এই যাত্রা শুরু হয়। হেলিকপ্টার থেকে লাদেনের বাড়ির ছাদে নেমে আসার নির্দেশ পেয়ে তারা এগিয়ে যান লক্ষ্যপূরণের উদ্দেশ্যে। সেই বাড়িরই একটি তলাতে লুকিয়ে ছিল লাদেন। হাতেনাতে ধরা পড়ার পরেও নিজেকে আত্মসমর্পণ করেনি। এরপরই রবার্ট তাকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। আর সেই গুলির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বিশ্বের ত্রাস ওসামা বিন লাদেন।পিডিএসও/মুস্তাফিজ