আগাম কোনও খবর ছাড়া লকডাউন জারি হয়ে যাওয়ায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে গিয়ে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে গিয়ে আটকে পড়া ২ হাজার ৬৮০ ভারতীয়কে সীমান্ত দিয়ে বাংলায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হোক, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ফের একবার অনুরোধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

রাজ্যের এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্তা জানিয়েছেন, কয়েক সপ্তাহ আগেও কেন্দ্র এই একই অনুরোধ করেছিল। ঢাকায় খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, পেট্রাপোল-বেনাপোল ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট এলাকা দিয়ে ২ হাজার ৩৯৯ জন মানুষ বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে আসতে চাইছেন এবং আরও ২৮১ জন ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে ফিরতে চাইছেন, রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে একটি চিঠিতে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব বিক্রম দোড়াইস্বামী।

করোনাভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে মার্চ মাসের শেষের দিকে ভারতজুড়ে তড়িঘড়ি লকডাউন জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার। লকডাউন জারি হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে গিয়ে আটকে পড়েন ঐসব ভারতীয়রা। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আটকে পড়া পশ্চিমবঙ্গের মানুষেরা স্কুলের বারান্দায় বা সাধারণ পার্কগুলিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষই প্রতিবেশী দেশটিতে নিজেদের আত্মীয়দের দেখতে গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রের এই চিঠি প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারি ওই কর্তা বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন্দ্রের এই অনুরোধ বিবেচনা করে দেখছে এবং তাদের ফেরাতে কী করা যায় তার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেছেন, তবে দেশে ফেরার জন্য ট্রেনে ওঠার আগে এতদিন ধরে বাংলাদেশে আটকে পড়া ওই মানুষদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার বিষয়টি কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার রেলমন্ত্রককে একটি চিঠি মারফত বাংলাদেশ থেকে ওই মানুষদের ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ট্রেন চালনার কথা বিবেচনা করার অনুরোধ করেছে।

পিডিএসও/হেলাল