আয়ুর্বেদ চিকিত্‍‌সক, এমন এক কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার জানুয়ারিতে প্যারোলের সুযোগ নিয়ে ফেরার থাকার ছ-মাসের পর দিল্লির বাপরোলা এলাকা থেকে ওই খুনে চিকিত্‍‌সককে দ্বিতীয় বার গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশের অপরাধ দমন শাখা।

দেবেন্দ্র শর্মা, বছর ৬২-এর ওই ডাক্তার আয়ুর্বেদের ডিগ্রির আড়ালে অপরাধে হাত পাকিয়ে ছিল। উত্তরপ্রদেশের আলিগঢ় জেলার পুরেনি গ্রাম থেকে তাকে প্রথমবার গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু, একটি খুনের মামলায় প্যারোলে ছাড়া মেয়ে ছ-মাসের জন্য গায়েব হয়ে গিয়েছিল।

জানা যায়, বিহারের সিওয়ান থেকে বিএএমএস ডিগ্রি করে, ১৯৮৪ সালে জয়পুরে একটি ক্লিনিক খুলেছিল দেবেন্দ্র । ১৯৯২ সালে গ্যাস ডিলারশিপ প্রকল্পে ১১ লাখ বিনিয়োগ করে ডুবে যায়। চরম আর্থিক সংকটে পড়ে প্রতারণা শুরু করে। আলিগঢ়ের ছারা গ্রামে ভুয়ো এজেন্সি খুলে শুরু হয় তার প্রতারণা। পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, শুধু খুন নয়, অপহরণেও সে হাত পাকিয়েছিল। খুনের পাশাপাশি একাধিক অপহরণের মামলাও দেবেন্দ্রর নামে ঝুলে রয়েছে।

আন্তঃরাজ্য কিডনি প্রতিস্থাপন চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকায় ২০০৪ সালে তাকে জেলে যেতে হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত অন্তত ১২৫ অবৈধ কিডনি প্রতিস্থাপনের সঙ্গে দেবেন্দ্রর নাম জুড়ে আছে। এই এক-একটি কেসে সে পেত ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা। এখনও পর্যন্ত ৫০-এর বেশি খুনে এই আয়ুর্বেদ ডাক্তারের নাম জুড়ে থাকলেও পুলিশের দাবি, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থান মিলিয়ে এই সংখ্যাটা ১০০-এর কম নয়। যদিও নিজের মুখে সে স্বীকার করে, ৫০টি খুনের চক্রী।

এদিকে, উত্তর দিল্লির লালকেল্লায় পার্কের মধ্যে জোর করে বছর ২৩-এর এক যুবতীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণে বাধা দিতে গেলে ওই যুবতীর মাথা পাথরের আঘাতে ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপর একরকম ভয় পেয়েই ওই যুবতী কারও কাছে ঘটনার কথা বলতে পারেননি। পরে পথচলতি এক ব্যক্তি যুবতীর মাথা দিয়ে রক্ত বেরোতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই যুবতীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ধর্ষণের কথা জানতে পারে। বিবাহিত ওই যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে দিল্লি পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।

পিডিএসও/হেলাল