কলকাতা প্রতিনিধি

  ২৯ মে, ২০২০

করোনায় মৃত্যু : চীনকে ছাড়ালো ভারত

করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হিসাবে চীনকে ছাড়িয়ে গেল ভারত। অন্যদিকে, তুরস্ককে পেছনে ফেলে করোনাসংক্রমিত দেশের তালিকায় বিশ্বে নয় নম্বরে চলে এসেছে ভারত। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে সাত হাজার জন।

করোনা আক্রান্তের হিসাবে আমেরিকা, ব্রাজিল, রাশিয়া, ব্রিটেন, স্পেন, ইতালি, ফ্রান্স ও জার্মানির পরই রয়েছে ভারত। কোভিড-১৯ দেশে সবচেয়ে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এমন একটা সময়ে, যখন চতুর্থ লকডাউন শেষ হতে আর মাত্র দুদিন বাকি। সামনের রোববারই শেষ হচ্ছে চতুর্থ লকডাউনের মেয়াদ।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ৪৬৬ জন। একদিনে এত সংখ্যক লোক এর আগে সংক্রমিত হননি। এই বৃদ্ধির জেরে করোনা মোট আক্রান্ত হলেন এক লাখ ৬৫ হাজার ৭৯৯ জন। আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও গুজরাত—এই চারটি রাজ্যে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে, গত ২৪ ঘণ্টায় এ দেশে মৃত্যু হয়েছে ১৭৫ জনের। এই নিয়ে দেশে কোভিডের কারণে মোট মৃত্যু হলো চার হাজার ৭০৬ জনের।

এদিকে পশ্চিমবঙ্গে ১৩ দিনে করোনা কনটেনমেন্ট জোন বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ, গত ১৫ মে রাজ্যে মোট কনটেনমেন্ট জোন ছিল ৫৭৭টি, বৃহস্পতিবার কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭১। রাজ্যের ২৩টি জেলার মধ্যে ১৯টি জেলাই কনটেনমেন্ট জোন। রাজ্যে সর্বাধিক কনটেনমেন্ট জোন রয়েছে কলকাতায়। মহানগরে সেই সংখ্যা ২৮৬টি। মনে করা হচ্ছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার জন্যই হু-হু বাড়ছে কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা।

উল্লেখ্য, সরকারের তরফে শেষ প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী সাড়ে ৪ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪৪ জন। কলকাতার আশপাশ ছাড়িয়ে দূরের বিভিন্ন জেলাতেও বাড়তে সংক্রমিতের সংখ্যা। এই মুহূর্তে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৩৬ জন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেবে, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪৪ জন। এখনও অবধি রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৯৫ জনের।

অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর করোনা পজেটিভ ধরা পড়ায় এই প্রথম মন্ত্রিসভার কোনও মন্ত্রীর শরীর লক্ষ্য করে আক্রমণ শানাল কোভিড-১৯ ভাইরাস।বৃহস্পতিবার রাতে মন্ত্রী সুজিত বসুর শারীরিক পরীক্ষার ফলাফল আসার পর দেখা যায় যে, তিনি করোনা পজেটিভ। তারপরেই দমকলমন্ত্রীকে নিজের বাড়িতেই কোয়ারান্টাইন অবস্থায় থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। তার স্ত্রীও করোনা পজেটিভ হিসাবে ধরা পড়েছেন।

কিছুদিন আগেই মন্ত্রী ও তার পরিবারের সবার শরীর থেকে নমুনা নিয়ে করোনা পরীক্ষার জন্যে পাঠানো হয়। সেই পরীক্ষার ফলাফলেই দেখা যায় মন্ত্রী সুজিত বসু এবং তার স্ত্রী দুজনেই করোনা পজেটিভ। তবে তাদের দুজনেরই শরীরে এখনও পর্যন্ত কোনও উপসর্গ না থাকায় বাড়়িতে রেখেই চিকিৎসা চালানো হবে। এদিকে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুর সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের হোম কোয়ারান্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

পিডিএসও/হেলাল

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ভারত,করোনায় মৃত্যু,কোভিড-১৯
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close