পার্থ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা

  ০৯ এপ্রিল, ২০২০

লকডাউনের সময় বাড়াল উড়িষ্যা, বিতর্ক কর্নাটকে

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়াল উড়িষ্যা। নবীন পট্টনায়েকের সরকার ঘোষণা করেছে, ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হবে সেখানে। উড়িষ্যা প্রথম রাজ্য, যেখানে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। একই সঙ্গে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত যাতে ট্রেন ও বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সেই আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক।

সরকারের তরফে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে উড়িষ্যা সরকার। কেন্দ্রকেও সেই একই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, গত এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় বিপদ ডেকে এনেছে করোনাভাইরাস। জীবন আর একই রকম থাকবে না। এটা সবাইকে অবশ্যই বুঝতে হবে এবং সবাই মিলে দৃঢ়ভাবে তার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। অন্যদিকে ১৭ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে উড়িষ্যার সমস্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে যে ইঙ্গিত দিয়েছেন,তাতে আরও কিছু দিন লকডাউনের সময় বাড়ানো হতে পারে। তবে তারমধ্যেও স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরাতে সামাজিক দূরত্ব রেখেই বিভিন্ন পর্যায়ে কিভাবে লকডাউন তোলা হতে পারে, তার খসড়া তৈরি করেছে কেন্দ্র।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে কোনও বিশেষ ধর্ম, সম্প্রদায়কে টার্গেট না করতে মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার নির্দেশ সত্ত্বেও তাবলিগি জামাত সদস্যদের আক্রমণ করতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন কর্নাটকের বিজেপি বিধায়ক এম পি রেনুকাচার্য। যারা কোভিড ১৯ সংক্রমণ পরীক্ষা এড়িয়ে যাচ্ছেন, দেশে ভাইরাস ছড়াচ্ছেন তাদের গুলি করে মারার দাবি করেছেন তিনি।

গত মাসেই দিল্লিতে তাবলিগ জামাতের ধর্মীয় সমাবেশে কয়েক হাজার লোকের জমায়েত হয়। সেখান থেকেই জমায়েতে সামিল লোকজন দেশের নানা প্রান্তে গিয়ে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। বিজেপি বিধায়ক এম পি রেনুকাচার্য বলেছেন, তাবলিগ জামাতের সদস্যরা মেডিকেল চেকআপের জন্য নিজে থেকে এগিয়ে আসছে না, শনাক্তকরণ এড়িয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ওদের উপেক্ষা করা উচিত নয় সরকারের। দরকার হলে ওদের এজন্য গুলি করলেও তা দোষের কিছু নয়। নয়তো গোটা দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে।

এছাড়া যারা হাসপাতালে নিজেরা যাচ্ছে না, তাদের বিশ্বাসঘাতক তকমা দিয়ে তিনি বলেছেন, কোভিড ১৯ সংক্রমণ ছড়ানোও সন্ত্রাসবাদের মতো, যারা এটা করছে তারা প্রতারক।

এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা বলেছিলেন, মুসলিমদের সম্পর্কে একটি কথাও কেউ যেন না বলেন। আরেক বিজেপি বিধায়ক ও রাজ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক অরবিন্দ লিম্বাভালি আবার তাবলিগ জামাতের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া যেসব লোকজন টেস্ট করাতে হাসপাতালে আসছে না, তাদের জেলে পোরা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
উড়িষ্যা,লকডাউন,করোনা মোকাবিলা
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close