কলকাতা প্রতিনিধি

  ১৭ জানুয়ারি, ২০২০

নির্ভয়া ধর্ষণ : দোষীদের ফাঁসি পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি

নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি পিছিয়ে গেল। ২২ জানুয়ারি ফাঁসি কার্যকর হচ্ছে না। ১ ফেব্রুয়ারি ভোর ৬টায় ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। আগের ফাঁসির তারিখ পিছিয়ে যাওয়ার পরে ফের নতুন তারিখ ঘোষণা করলেন দিল্লি আদালত।

উল্লেখ্যে, দিল্লির বিশেষ আদালত মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে বলেছিলেন, ২২ জানুয়ারি চার দোষীর ফাঁসি দিতে হবে। এর পর সুপ্রিম কোর্টে রায় সংশোধনের আর্জি জানিয়েছিল দুই অভিযুক্ত। সেই আর্জি খারিজ হওয়ার পর দিল্লি হাইকোর্টে দিল্লির নিম্ন আদালতের ওই মৃত্যু পরোয়ানার রায় চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন মুকেশ সিং। মুকেশ সিঙের প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

দিল্লি সরকার সেই পিটিশন খারিজ করে বৃহস্পতিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠিয়েছিল। সন্ধ্যাতেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। পিটিশন খারিজ করে দেওয়ার প্রস্তাব করে ফাইলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠায় কেন্দ্র। তাতেই শিলমোহর দিয়েছেন রামনাথ কোবিন্দ। শুক্রবার ২২ জানুয়ারির বদলে ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ ১৪ দিন পর ফাঁসি দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।

এক এক করে আইনের সব রাস্তা যখন বন্ধ হচ্ছিল, তখনই শেষ বিকল্প হিসেবে সুপ্রিম কোর্টে রায় সংশোধনের আর্জি (কিউরেটিভ পিটিশন) জানিয়েছিল দুই দন্ডিত বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিংহ। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দেন শীর্ষ আদালত। এর পর প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায় মুকেশ। একই সঙ্গে দিল্লির দায়রা আদালতের জারি করা মৃত্যু পরোয়ানা খারিজ করার আর্জি নিয়ে হাইকোর্টেও গিয়েছিল মুকেশ।

মুকেশের আইনজীবীদের যুক্তি ছিল, রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আর্জি মঞ্জুর করতেই পারেন। তাই মৃত্যু পরোয়ানা খারিজ করা হোক। সেই মামলার শুনানিতেই দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, আইনের সব বিকল্প শেষ হওয়ার পরেও ফাঁসির প্রস্তুতি ও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য ১৪ দিন সময় দিতে হয়। জেল ম্যানুয়ালেও সেই কথাই বলা হয়েছে। ফলে ২২ জানুয়ারি ফাঁসি কার্যকর করা সম্ভব নয়। তার জন্য অবশ্য বিজেপির তোপের মুখেও পড়েছিল দিল্লির আপ সরকার। কিন্তু হাইকোর্ট জানিয়ে দেন, মৃত্যু পরোয়ানা জারির মধ্যে কোনো গলদ নেই। তবে এই আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে বা নিম্ন আদালতে যেতে পারে আবেদনকারী।

২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর রাতে দিল্লির রাজপথে চলন্ত বাসে তুলে নির্ভয়াকে ধর্ষণ ও নৃশংস অত্যাচার করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ছিল মোট ছয়জন। তার মধ্যে বিচার চলাকালীনই রামসিংহ নামে এক অভিযুক্ত তিহাড় জেলে আত্মহত্যা করেছিল। জুভেনাইল আইনে নাবালক অভিযুক্তকে তিন বছরের সাজা ঘোষণা হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষে ছাড়া পেয়ে গেছে তখনকার সেই নাবালক।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
নির্ভয়াকাণ্ড,নির্ভয়া ধর্ষণ,ফাঁসি,ভারত
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close