পার্থ মুখোপাধ্যায়, কলকাতা

  ২২ অক্টোবর, ২০১৯

কাশ্মীরে এক বছর সভা-বিবৃতি নয়

আগামী এক বছর কাশ্মীর সংক্রান্ত কোনো বিবৃতি দেওয়া বা বক্তব্য পেশ করতে পারবেন না, এমন শর্তে বন্ডে সই করার পর মুক্তি দেওয়া হচ্ছে আটক-গৃহবন্দি নেতা-নেত্রীদের। মুক্তির শর্ত হিসেবে এমন বন্ডে সই করানো নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে।

গত ৫ আগস্ট সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরের ৩ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীসহ কয়েকশো নেতা-নেত্রীকে আটক করে রাখা হয়েছে। মোবাইল, ল্যান্ডলাইন, ইন্টারনেট, কেবল পরিষেবা বন্ধ করে কার্যত গোটা দেশ থেকে দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন ছিল উপত্যকা। সেই উত্তাপ কমার পর থেকে ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়েছে। কিছুটা হলেও ছন্দে ফিরেছে শ্রীনগরসহ অধিকাংশ এলাকা। তারপর থেকেই শুরু হয়েছে আটক নেতা-নেত্রীদের মুক্তির প্রক্রিয়া। কিন্তু সেই মুক্তির শর্ত ঘিরেই উঠেছে প্রশ্ন, বন্ডে সই করিয়ে তারপর ছাড়া হচ্ছে ওই সব নেতা-নেত্রীদের।

বন্ডের বয়ান অনুযায়ী এক বছরের মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে কোনো বিবৃতি প্রকাশ করা যাবে না। কোনো সভা-জমায়েতে বক্তব্য পেশ করা যাবে না এবং কোনও র‌্যালি-মিছিল-মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করা যাবে না। কারণ তা শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে।

বন্ডের দ্বিতীয় শর্ত, ১০ হাজার টাকা অগ্রিম হিসাবে জমা দিতে হবে এবং বন্ডের কোনো শর্ত ভঙ্গ হলে আরও ৪০ হাজার টাকা দিতে হবে। এই দুই শর্ত লেখা বন্ডে সই করলে তবেই ছাড়া পাচ্ছেন জম্মু-কাশ্মীরের নেতা-নেত্রীরা।

স্বাভাবিকভাবেই বাক স্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতার অধিকার খর্ব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলগুলো। সরব হয়েছে কাশ্মীরের বেশ কিছু সংগঠনও।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
কাশ্মীর,বন্দি,জম্মু-কাশ্মীর
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close