কায়রোতে গোপনে মুরসির দাফন সম্পন্ন
মিশরের ইতিহাসে প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে কায়রোতে গোপনে দাফন করা হয়েছে। এর আগে গতকাল সোমবার মিশরের আদালতের মধ্যে তিনি মারা যান।
মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক পেজ থেকে এক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন মুরসির ছেলে আহমেদ মুরসি। মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রাক্তন নেতাদের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানিয়েছেন, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে মুরসির নিজ শহর সারকিয়া প্রদেশে তার দাফনের আবেদন জানানো হলেও তা প্রত্যাখ্যান করেছে কর্তৃপক্ষ। তাকে কায়রোর নাসার শহরে দাফন করা হয়েছে। সে সময় তার পরিবারের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
আহমেদ বলেন, টোরা কারা-হাসপাতালে আমরা তাকে গোসল করিয়েছি। তার জানাজার নামাজ আদায় করেছি এবং তাকে দাফন করা হয়েছে।
মোহাম্মদ মুরসি মুসলিমপন্থী দল মুসলিম ব্রাদারহুডের ওপরের সারির নেতা ছিলেন। তিনি ২০১২ সালে জনগণের ভোটের মধ্য দিয়ে প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পান। তবে ক্ষমতার এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালে তার বিরুদ্ধে গণবিক্ষোভ শুরু হয়। এই বিক্ষোভের সুযোগ নিয়ে মিশরের সেনাবাহিনী মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেও মাত্র এক বছরের মাথায় সেনা অভ্যুত্থানের মুখে ২০১৩ সালে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন মুরসি। পরে মিসরের এই প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
এরপর মিশরের আদালত মুরসিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন। সে সময় মুরসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ২০১২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ভুল তথ্য দিয়েছিলেন।
পিডিএসও/তাজ