মিয়ানমারে সংবিধান সংশোধন প্রস্তাব অনুমোদিত
সেনাদের ক্ষোভ
মিয়ানমারে সংরক্ষিত সেনা সদস্যদের তোপ উপেক্ষা করে সেনাবাহিনী রচিত সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সংসদ। মঙ্গলবার প্রস্তাবটি বর্মী সংসদে ভোটাভুটিতে টিকে যায়। এ নিয়ে এখন মুখোমুখি অবস্থানে সুচি ও সেনাবাহিনী। খবর মিয়ানমার টাইমসের।
স্টেট কাউন্সিলর অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) পক্ষ থেকে আনা প্রস্তাব অনুমোদনের ফলে সংবিধান সংশোধনের লক্ষ্যে কমিটি গঠিত হবে।
মিয়ানমার টাইমস জানায়, সংসদের মোট ৬০১ জন সদস্যের মধ্যে ৩৬৯ জন এনএলডির প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন। এ সময় সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত আসনের সদস্যরা হট্টগোল শুরু করেন। তারা বলেন, এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব আনার আগে সংসদ সদস্যদের অবহিত করা উচিত ছিল। জবাবে স্পিকার উ টি খুন মিয়াত তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সংসদের প্রতি সম্মানের জন্য আহ্বানও জানান।
বয়টার্সের খবরে বলা হয়, সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব আনার ফলে সেনাবাহিনী ও সুচির এনএলডির মধ্যে উত্তেজনা ছড়াতে পারে। নির্বাচনে ঐতিহাসিক জয়ের তিন বছর পর এই প্রথম সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করেছে এনএলডি। নির্বাচনে জয় পেলেও সংবিধানের অদ্ভুত বিধানের কারণে প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি সুচি।
২০০৮ সালে সেনাবাহিনীর তৈরি মিয়ানমার সংবিধানে প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্রসহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়গুলো সেনাবাহিনীর অধীনে রাখা হয়। সংসদের দুই কক্ষেই সেনাবাহিনীর জন্য এক চতুর্থাংশ আসন সংরক্ষণের বিধান করা হয়। সংবিধান চূড়ান্তভাবে সংশোধনে পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশের বেশি সদস্যের সমর্থন লাগবে।
সংবিধান সংশোধন করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা কমিয়ে আনার আহ্বান জানানোর পর ২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারি সুচির মুসলিম উপদেষ্টা কো নিকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। ইয়াঙ্গুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হলেও ঘটনার বিচারের কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। ওই ঘ্টনার দ্বিতীয় বার্ষিকীতেই সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব এনেছে এনএলডি।
পিডিএসও/হেলাল