reporterঅনলাইন ডেস্ক
  ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯

উত্তপ্ত ভেনিজুয়েলা, সহিংস বিক্ষোভে নিহত ১৩

ভেনিজুয়েলার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বিরোধী সহিংস বিক্ষোভে গত ২ দিনে দেশটিতে ১৩ জন নিহত হয়েছে। কারাকাস ভিত্তিক ডানপন্থী সংগঠন ভেনিজুয়েলান অবজারভেটরি অব সোশাল কনফ্লিক্ট একথা জানিয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছেন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো। বিরোধীদলীয় নেতা হুয়ান গুইদোকে দেশটির অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্বীকৃতি দেয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার এ ঘোষণা দিলেন মাদুরো।

বিবিসি জানিয়েছে, মার্কিন কূটনীতিকদের ভেনিজুয়েলা ত্যাগের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন মাদুরো। যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোকে ‘সাবেক প্রেসিডেন্ট’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, তার এ ধরনের নির্দেশ দেয়ার এখতিয়ার নেই।

অন্যদিকে গত মঙ্গলবার থেকে রাজধানী কারাকাসসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের অধিকাংশই গুলিতে মারা গেছে। এছাড়া ব্রাজিল সীমান্তবর্তী রাজ্য বলিভারে লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।

গত সোমবার কারাকাসের একটি কমান্ড পোস্টে মাদুরো বিরোধীদের সঙ্গে ২৭ জন সৈন্যের এই সংঘর্ষ শুরু হয়। এরপরই বিক্ষোভকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও পোস্ট করে ‘সবাইকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানায়।’

কিন্তু মঙ্গলবার রাতে কারাকাস ও বলিভারে সহিংসতার তীব্রতা শুরু হয় এবং ভেনিজুয়েলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ সহিংসতা বুধবারও চলতে থাকে। বিরোধীরা দিনভর মাদুরো বিরোধী বিক্ষোভ করে।

বিরোধী দলীয় নেতা জুয়ান গুয়াইদো মিছিল সমাবেশের ডাক দেন। মাদুরোকে অপসারণের অংশ হিসেবে তিনি নিজেকে ভেনিজুয়েলার অন্তবর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন।

কারাকাসের পার্শ্ববর্তী খনিজ সমৃদ্ধ এলাকা আলতামিরায় কতিপয় যুবক রাস্তা অবরোধ করলে অস্থিরতা শুরু হয়। সেনা সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। বিক্ষোভকারীরা সৈন্যদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ে মারে। রাজধানী কারাকাস ছাড়াও তাচিরা, বারিনাস, পর্তুগুয়েসা, আমাজনাস ও বলিভার রাজ্যের নিহতের খবর পাওয়া গেছে।

পিডিএসও/তাজ

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
ভেনিজুয়েলা,সহিংস বিক্ষোভ,নিহত
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close