অস্ত্র আইন সংস্কারে যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাপক বিক্ষোভ
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বন্দুকবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত অস্ত্র আইন সংস্কারের দাবিতে দেশটির বিভিন্ন শহরে লাখ লাখ বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে। মার্চ ফর আওয়ার লাইভস নামের এই বিক্ষোভের মূল অংশটি ছিল ওয়াশিংটনে।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফ্লোরিডার হাইস্কুলে এক তরুণের নির্বিচারে গুলিবর্ষণে ১৭ জন নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়। সেদিনের বেঁচে যাওয়া তরুণরাই এই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সরকারকে কঠোর বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন করতে বাধ্য করাই এই বিক্ষোভের প্রাথমিক উদ্দেশ্য।
এদিকে নিউইয়র্ক, লসঅ্যাঞ্জেলেস, হিউস্টনসহ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি শহর ছাড়াও স্কটল্যান্ডের এডিনবার্গ আর লন্ডনের মার্কিন দূতাবাসের সামনেও একই সময়ে মার্চ করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, দেশজুড়ে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ যে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছে, তার উদ্যোক্তা কিশোর-কিশোরী শিক্ষার্থী নিজেরাই। যুক্তরাষ্ট্রের সব রাস্তাঘাট দখলে নেওয়ার প্রত্যয় এই কিশোর-তরুণদের। প্রতিবাদ সমাবেশটিন নাম দেওয়া হয়েছে ‘মার্চ ফর আওয়ার লাইভজ’ (আমাদের জীবনের জন্য পদযাত্রা)।
ফ্লোরিডার মারজোরি স্টোনম্যান ডগলাস হাইস্কুলে গত ১৪ ফেব্রুয়ারির মর্মান্তিক বন্দুক সহিংসতাই গোটা মার্কিন মুল্লুকের সব তরুণ-তরুণীকে বন্দুক লবি ও হীন বন্দুক ব্যবসার বিরুদ্ধে একাট্টা করেছে। ওই স্কুলেরই ১৯ বছর বয়সী সাবেক এক ছাত্রের গুলিতে মোট ১৭জনের মৃত্যু হয়।
ছাত্রছাত্রীরা চাইছে কঠোর আইন করে অ্যাসল্ট রাইফেলের মতো প্রাণঘাতী মারাত্মক অস্ত্র নিষিদ্ধ করা হোক। আইনপ্রণেতাদের কাছে তাদের এই জোরালো দাবি। কিন্তু বন্দুক লবির কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে সিনেটর-কংগ্রেসম্যানরা নীরব হয়ে আছেন বলে অভিযোগ তাদের। তাই ছাত্রছাত্রীরা আইনপ্রণেতাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ‘হয় আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকবেন, না থাকলে বুঝব আছেন বন্দুকবাজদের পক্ষে’।
ছাত্রছাত্রীদের ওই প্রতিবাদের পক্ষে রয়েছেন সমাজের বিবেকবান অংশ। সেই সঙ্গে সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, বারাক ওবামা, মিশেল ওবামা, অপরাহ উইনফ্রেসহ বহু বিখ্যাত মানুষ সংহতি জানিয়েছেন ‘মার্চ ফর আওয়ার লাইভজ’ প্রতিবাদ সমাবেশের প্রতি।
চলমান বিক্ষোভ নিয়ে ওয়াশিংটনের এক সংগঠক বলেন, আট লাখেরও বেশি লোক এ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। ২০০০ সালের মার্চে মিলিয়ন মাম মার্চের পর এটিই অস্ত্র আইন সংস্কার দাবিতে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ।
পিডিএসও/তাজ